কলকাতা: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসির নির্দেশ মতো নভেম্বরে ক্লাস চালু করা সম্ভব নয়। তাই আগামী ডিসেম্বর মাস থেকেই শুরু হবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ক্লাস, এমনটাই সাফ জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নভেম্বর মাস যেহেতু উৎসবের মাস, তাই ওই সময়ে কোনও ভাবেই ক্লাস শুরু করা যাবে না।
গত শুক্রবার তিন পাতার আট দফা গাইডলাইন প্রকাশ করেছে ইউজিসি। যেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এবং তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আগামী দুই শিক্ষাবর্ষে অর্থাৎ ২০২০-২১ এবং ২০২১‐২২ শিক্ষাবর্ষে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে প্রয়োজনে সপ্তাহে ৬দিন করে ক্লাস নিতে হবে। পাশাপাশি লম্বা ছুটির বিষয় কমানোর কথাও বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। ইউজিসি একইসঙ্গে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী নভেম্বর মাস থেকেই পঠন-পাঠন চালু করার নির্দেশ দিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে রবিবার রাজ্যের উপাচার্যদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি ডিসেম্বর মাস থেকে শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবর স্নাতকোত্তরের ফল প্রকাশ করা হবে। কিন্তু তারপর ১ নভেম্বর থেকে কোনওভাবেই ক্লাস শুরু করা সম্ভব নয়। কেননা সেই সময়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। সুতরাং ১ ডিসেম্বর থেকেই অনলাইনে স্নাতকোত্তরের ক্লাস নেওয়া শুরু হবে। অন্যদিকে, স্নাতকস্তরের ক্লাস প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ২ নভেম্বর থেকে অনলাইনে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে। পাশাপাশি এখনই যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শারীরিকভাবে উপস্থিত হওয়া সম্ভব নয়, সে সম্পর্কেও শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন।
বৈঠকের পরে শিক্ষামন্ত্রী ইউজিসির নির্দেশ সম্পর্কে বলেন, বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসবের কথা মাথায় রাখেনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। পুজো সামলে ডিসেম্বর মাসের আগে শিক্ষাবর্ষ চালু করা কোনওভাবেই সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শিক্ষাবর্ষ একমাস পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া মাত্র ইউজিসিকে রাজ্যের তরফে চিঠি লিখে জানিয়ে দেওয়া হবে, নভেম্বরে শিক্ষাবর্ষ শুরু করা অসুবিধা গুলি, এমনটাই জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।