‘কৃষকদের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে’, সরকারি উদ্যোগে ব্যবস্থার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

‘কৃষকদের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে’, সরকারি উদ্যোগে ব্যবস্থার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

9c03892772a1470787e20a375a53faa7

জলপাইগুড়ি: কেন্দ্রের কৃষি বিল নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ৷ কৃষি বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও৷ এদিন উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে আরও একবার সুড় চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, কেন্দ্রের নীতিতে কৃষকদের জীবনে সর্বনাশ নেমে এসেছে৷  

আরও পড়ুন- ‘শ্রম দফতরে ইন্সপেক্টর রাজ চলছে’ মন্ত্রী মলয়কে জোড় ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আলু, পিঁয়াজ, চাল, তেলকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এর পর দেখা যাবে ফোড়েরা এসে সব নিয়ে চলে যাচ্ছে আর চাষীরা নিজেদের চাষের জিনিসটুকুও খেতে পাচ্ছে না৷ শুরু হবে হোর্ডিং, কালোবাজারি৷ গোটা বিষয়টি সর্বনাশের পথে এগোচ্ছে৷ কৃষকদের বিষয়টা মানুষকে বোঝাতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সে বিষয়ে মুখ্য সচিবের সঙ্গে বসে রাজ্যের কৃষি দফতরকে একটা পরিকল্পানা তৈরি করতে হবে৷ 

এদিন রাজীব সিনহা জানান, রাজ্যে প্রচুর ভুট্টা উৎপাদন হচ্ছে৷ কিন্তু জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে উৎপাদিত ভুট্টার দানা ছোট হচ্ছে৷ এর ফলে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না৷ ভুট্টার মান উন্নয়ন করতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বীজ দেওয়ার সময়ই এই বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে যাতে দানাটা বড় হয়৷ উত্তরবঙ্গে যে চাষ হয় তা যেন ভালো হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ যাতে প্রতিযোগিতায় দাঁড়াতে পারে উত্তরবঙ্গের ফসল৷ 

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, মাটির সৃষ্টি পরিকল্পনায় বিভিন্ন রকম ফল-ফুল চাষ করা হচ্ছে৷ জেলা শাসকদেরও এই বিষয়ে নতুন চিন্তাভাবনা জানানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পাশাপাশি বলেন, রেশন ব্যবস্থাকে ভালো করে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ কেউ যেন রেশন থেকে বঞ্চিত না হয়৷ আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত রাজ্যে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে৷ মানুষ যাতে বিনা পয়সায় রেশন পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে৷ বিভিন্ন উপজাতির মানুষ রয়েছে এখানে৷ তাঁদের কাছেও রেশন পৌঁছে দিতে হবে৷ 

আরও পড়ুন- এখনই হচ্ছে না বাংলায় নির্বাচন, স্থগিত ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের পুলিশকেও আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ  তো রয়েছেই৷ এছাড়াও সোশ্যাল নেটওয়ার্ককে নজরে রাখতে হবে৷ মিথ্যে কথাকে মিথ্যে বলে প্রমাণ করে দিতে হবে৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করতে হবে৷ এটা বাধ্যতামূলক৷   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *