বিজেপিতে যোগ দিলেন নন্দীগ্রামের বড় নেতা, হাত বাড়ালেন কৈলাস-মুকুল-অরবিন্দ

বিজেপিতে যোগ দিলেন নন্দীগ্রামের বড় নেতা, হাত বাড়ালেন কৈলাস-মুকুল-অরবিন্দ

কলকাতা: নন্দীগ্রামের কংগ্রেস নেতা সবুজ প্রধান যোগ দিলেন বিজেপিতে। যে নন্দীগ্রাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল, সেখানে কয়েক বছর ধরেই শক্ত ঘাঁটি গড়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সবুজ এলাকার পরিচিত নেতা।

মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন ও রাজ্য কোষাধ্যক্ষ সাওয়ার ধননিয়ার উপস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা হাতে তুলে নিয়ে বিজেপি পরিবারে যোগ দিলেন সবুজ।

নন্দীগ্রামে বিজেপির মিটিং-মিছিল যে সরকার এবং শাসকদল ভালো চোখে দেখে না তা, অনেক আগেই বোঝা গিয়েছে। বিজেপি অভিযোগ, নন্দীগ্রামেই তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি আটকে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ রুদ্ররূপ নিয়েছে। যেমন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সি এ এ) তৈরি হওয়ার পর রাজ্যের দিকে দিকে অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করে গেরুয়া শিবির। নন্দীগ্রামে মিছিল হওয়ার সময় রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়ি আটকে রাখে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের উপর লাঠি চার্জ করা হয়।

লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভাল ফল করেছে বিজেপি। কিন্তু,পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তেমন ভাল ফল হয়নি। দক্ষিণবঙ্গে শক্ত জমি তৈরি করতে হলে দুই মেদিনীপুরে ভাল ফল করতে হবে বিজেপিকে। তবে, সাম্প্রতিক খড়গপুর পূর্বে উপনির্বাচনে হেরে যায় বিজেপি।

নন্দীগ্রাম এলাকায় তৃণমূল কগ্রেসসের সাংগঠনিক শক্তিকে ভেঙে দিতে চাইছে বিজেপি। মুকুল রায় এই জন্য কাজ করছেন। দলের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গিও এবং অরবিন্দ মেননও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। বলে রাখা ভাল, নন্দীগ্রাম অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের পুরোন সংগঠন কয়েক দশক ধরে রয়েছে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় তারা সিপিএম বিরোধী অবস্থান নিয়েছিল। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে মুকুল।

এটা ঠিক হয়ে গিয়েছে, মুকুল রায়ের নেতৃত্বে লোকসভা নির্বাচনে লড়েছে বিজেপি। মুকুল রায়ের নেতৃত্বেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করেছে বিজেপি। মুকুল রায় রাজ্যে নির্বাচন কমিটির প্রধান। পুরসভা নির্বাচনের কমিটির প্রধানও মুকুল রায়। বর্তমানে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *