নিজস্ব প্রতিনিধি, গাইঘাটা: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে পড়ুয়াদের তোলা হল লরিতে। সবুজ সাথীর সাইকেল নিয়ে পড়ুয়ারা এভাবেই বাড়ি ফিরল। অভিযোগ লরিতে একজনও শিক্ষক বা অভিভাবক ছিলেন না। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঘটনা। দ্রুতগতিতে ছোটা গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পরে এক ছাত্রী৷ গাড়ির পিছনে বিপজ্জনক ভাবে পড়ুয়াদের বসিয়ে রাখার অভিযোগ দায়িত্বহীন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে৷
মঙ্গলবার গাইঘাটা জয় তারা কবিগুরু বিদ্যামন্দিরের ছাত্রছাত্রীরা সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল নেওয়ার জন্য গাইঘাটা কিষান মান্ডিতে এসে পৌঁছায়। স্কুলশিক্ষকদের উপস্থিতিতে সেখান থেকে লরিতে সাইকেল বোঝাই করার পর সেই লরিতেই ছাত্রছাত্রীরা চাপাচাপি করে উঠে পড়ে। লরিতে কোনও শিক্ষক বা কোনও অভিভাবক ছিলেন না। ফেরার পথে দ্রুতগতিতে যশোর রোড দিয়ে ছুটল লরি। তারই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পরে মারিস খাতুন নামে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী।
যদিও গোটা ঘটনার বিষয়ে স্কুলের প্রধানশিক্ষক পঙ্কজ শীল অভিভাবকদের উপরে দায় চাপিয়েছেন। তাঁর দাবি স্কুল থেকে অভিভাবকদের টোকেন দেওয়া হয়, কিষাণ মান্ডি থেকে অভিভাবকদের উপস্থিতিতে কোভিড প্রোটোকল মেনে সাইকেল পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির পর অভিভাবকরা পড়ুয়াদের সঙ্গে ছিলেন কিনা তা তাদের জানা নেই। ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি ফিরেছে কিনা সে বিষয়ের দায়ও তিনি অভিভাবকদের ওপর চাপিয়েছেন।
বিষয়টিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবক উভয়ের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস৷ বিষয়টিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল বলে তিনি মনে করেন।
করোনার আবহে সরকারের তরফে পড়ুয়াদের সুস্থতার কথা ভেবেই বারবার স্কুল খোলার দিন পিছোনো হচ্ছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড প্রোটোকল সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করে ও তা মেনে স্কুল খুলতে বলছে।
অথচ এই পরিস্থিতিতেই পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিন্দুমাত্র ভাবল না স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর সামনে আসতে অভিভাবকদের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেদের মুখ বাঁচানোর চেষ্টায় রয়েছে তারা। ঠাসাঠাসি লরিতে পড়ুয়াদের কোন যুক্তিতে তুলে দেওয়া হল সে নিয়েই জোরদার প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে৷