কলকাতা: অতিমারীর সময় আগেই রাজ্যের একাধিক অঞ্চলে বাম-কর্মীরা শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালু করেছিল। যেখানে ২০ টাকায় পেট ভরে ভাত, সবজি, মাছ খেতে পেরেছেন রাজ্যের মানুষ, পাশাপাশি অনেক মানুষকে বিনামূল্যেও খাবার দেওয়া হয়েছে। এবার সেই শ্রমজীবী ক্যান্টিনের আদলেই ‘শ্রমজীবী বাজার’ চালু করল বাম-কর্মীরা। কলকাতায় বাঘাযতীন, শ্যামপুকুর, উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির মতো বিভিন্ন অঞ্চলে এই বাজার চালু করা হয়েছে। এর ফলে রাজ্যের বহু মানুষের কাছে ন্যূনতম দামে সবজি তুলে দেওয়া যাবে বলেই মনে করছে বাম-কর্মীরা।
কিন্তু বাস্তবে সস্তায় সমস্ত কিছু সেখানে পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রমজীবী বাজারে প্রচুর জিনিসের ঘাটতি রয়েছে। মাত্র ২৬ রকমের সবজিই কেবল এই বাজারগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এই ২৬ প্রকার সবজির দাম অন্যান্য বাজারের থেকে অনেক কম। আলু,পটল, আদা, পেঁয়াজ, রসুন, ঝিঙ্গে, বরবটি, বিনস, কুমড়ো, লাউ, চাল কুমড়ো, ওলকপি, বাঁধাকপি, বিভিন্ন ধরনের শাক, কাঁচা লঙ্কা, লেবু সব কিছুই পাওয়া যাচ্ছে এখানে। সাধারণ বাজারের সবজির দামের তুলনায় অনেক স্কিছুই এখানে ৫ থেকে ১০ টাকা এবং ২০ থেকে ২৫ টাকা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। ওজনে যে গোলমাল থাকছে, এমনটাও নয়। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের মুখে হাসি ফুটেছে।
কলকাতায় কুমোরটুলির মদনমোহন তলার সামনে ‘শ্রমজীবী বাজার’ গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে ক্যান্টিনের আদলেই দলের ছাত্র-যুব-মহিলা-শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরাই জিনিস পত্র বেচছেন। নিয়মমাফিক প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত বসছে এই বাজার। বিক্রিও বাড়ছে উত্তরোত্তর। বাজারে যেখানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, সেখানে এই বাজারে পেঁয়াজের দাম মাত্র ৪০ টাকা প্রতি কেজি।
পাশাপাশি চন্দ্রমুখী আলুর দাম বাজারে ৩৫ টাকা হলেও এখানে মিলছে ৩০ টাকায়। কিন্তু বামেরা এত কম দামে সবজি কিভাবে দিচ্ছেন, এর জবাবে তাঁরা জানিয়েছেন, সরাসরি চাষিদের থেকে সবজি কিনছেন তাঁরা। যার ফলে দালাল গোষ্ঠী না থাকায়, চাষীদের লাভের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছেও কম দামে সবজি তুলে দেওয়া যাচ্ছে। যদিও অনেকেই দাবি করছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মানুষের মন জয় করতেই সিপিএম এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সে যাইহোক, বামেদের এই সু-ব্যবস্থায় রাজ্যের মধ্যবিত্ত ও গরীব শ্রেণির মযে কল্যাণ হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।