রাজ্য সরকারের পথশ্রী অভিযান, সুগম হবে দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল

রাজ্য সরকারের পথশ্রী অভিযান, সুগম হবে দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল

তপন:  রাজ্য সরকারের আওতায় থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের একটি হল পথশ্রী। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ব্লকের গ্রামের রাস্তাগুলিকে পুনর্নির্মাণের উদ্দেশ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নবতম উদ্যোগ এই পথশ্রী অভিযান। আর সেই অভিযানের সূচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি হাত ধরে। রাজ্যের ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে প্রধান সড়ক ছাড়াও মূলত ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুর্গম রাস্তাগুলিও রয়েছে।

এই রাস্তাগুলিকে সুগম করার জন্যই মূলত এই উদ্যোগ। সড়কপথ যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। যোগাযোগ ব্যবস্থা সুষ্ঠু না হলে উন্নয়নের পথ সুগম হয় না। ফলে রাজ্যের ভিতর যোগাযোগ ব্যবস্থার যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রেখেই এই প্রকল্পের ভাবনা বলে আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই পথশ্রী অভিযানের উদ্যোগ শুরু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও। জেলার কুমারগঞ্জ, তপন ও গঙ্গারামপুর বিধানসভার তিনটি গ্রামের রাস্তাগুলি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। মূলত প্রত্যন্ত এলাকার খারাপ রাস্তাগুলির পাশাপাশি গ্রামগুলিতে যাতায়াতের জন্য মাটির রাস্তাগুলিকেও পাকা করার ব্যবস্থা হবে এই প্রকল্পে।

প্রকল্পের সূচনা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার তপন ব্লকের দীপখণ্ডা গ্রামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তপন বিধানসভার পথশ্রী অভিযানের সূচনা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। এদিনের এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণব ঘোষ,  বালুরঘাটে মহকুমার শাসক বিশ্বরঞ্জন মুখার্জি,  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আমজাদ মন্ডলসহ  অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।

এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাঝিখণ্ডা অঞ্চল থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুর্শিদাবাদ রোড পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এই রাস্তা তৈরী হলে দুটি এলাকার মাঝে থাকা বিভিন্ন অঞ্চলগুলির মানুষের যাতায়াতের সমস্যার বেশীরভাগটাই সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পথশ্রী অভিযানের মাধ্যমে এভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রত্যন্ত এলাকার রাস্তার উন্নতির লক্ষ্যে সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − seven =