বসিরহাট: কৃষি সুরক্ষা বিল এর সমর্থনে পদযাত্রায় সামিল হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূলের প্রাক্তন এই নেতার গলায় শোনা গেল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্গার। সরকারের তরফে পুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে এদিন তিনি তীব্র কটাক্ষ করেন।
তিনি বলেন আগেরবার নির্বাচনের আগে ক্লাবগুলিকে টাকা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট চেয়েছিলেন এবারও টাকা দিয়ে ক্লাবের ছেলেদের তিনি হার্মাদ বানাতে চান। তিনি ক্লাবগুলোকে কিনে নিতে চান।
উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় এদিন কার্যত সেখানকার সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে এরাজ্যের সরকারকে তুলোধোনা করেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণের ঘটনার পর ধর্ষকদের ফাস্ট ট্রা্যাক কোর্টে শাস্তির ব্যবস্থা হয়, এরাজ্যে কটা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট রয়েছে তার হিসেব দিক সরকার। তৃণমূলকে তিনি এদিন মিথ্যেবাদীর দল বলেও কটাক্ষ করেন।
বসিরহাট বিজেপি সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে এদিন হাসনাবাদের থুবা মোড় থেকে হাসনাবাদ বিডিও অফিস পর্যন্ত কৃষি বিলের সমর্থনে এক বিশাল পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তারকনাথ ঘোষ, বসিরহাট বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি পলাশ সরকারসহ বসিরহাট সাংগঠনিক বিজেপি জেলার কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক।
এদিন টাকির তুবা মোড় থেকে লাঙল কাঁধে নিয়ে পদযাত্রায় পামেলা সৌমিত্র খাঁ। এরপর হাসনাবাদে এক সভায় বক্তৃতা দেন তিনি। কৃষি বিলে মমতার আপত্তি নিয়ে তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এই সভায় বক্তৃতা দেওয়ার আগে বসিরহাট বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তারকনাথ ঘোষ লাঙ্গল ও চাষীদের টুপি দিয়ে বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁকে বরণ করে নেন।
এদিন সভার জন্য স্থানীয় একটি ভবন ভাড়া নিতে চাইলে তৃণমূল তাতে বাধা দিয়ে তা নিতে দেয়নি বলে দাবি করেন সৌমিত্র। করোনা আবহে এদিন তাঁর মুখে মাস্কও দেখা যায়নি।