ঝাড়গ্রাম:ভাতা নয় চাকরি। এই দাবিতে ঝাড়গ্রামে বিক্ষোভ দেখালেন যুবশ্রীর প্রার্থীরা। অল বেঙ্গল ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের ঝাড়গ্রাম শাখার উদ্যোগে মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি জেলাশাসককে স্মারকলিপি জমা দিতে যাওয়া হয়। যদিও সেই স্মারকলিপি জমা নেননি জেলাশাসক।
জেলাশাসকের এই ব্যবহারে ব্যাপক ক্ষুব্ধ যুবশ্রীর চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের আরও ক্ষোভ যেখানে ছমাস অন্তর এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের রিনুয়ালের কথা রয়েছে সেখানে উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে কী করে শ্রমদফতরের আধিকারিক ১ বছরে রিনুয়ালের কথা বলেন। তারা জানিয়েছেন ২০১১ সাল পর্যন্ত বাম আমলে শ্রম দফতরের অধীনে কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রের মাধ্যমে হত নিয়োগ।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রক্রিয়ার কিছুটা পরিবর্তন হয়। ২০১২ সালে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক নামে একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করা হয়। কর্ম বিনিয়োগ কেন্দ্রে নথিভূক্ত বেকাররাই এই পোর্টালে নাম নথিভূক্ত করে। ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান প্রথম এক লক্ষ বেকার কর্মপ্রার্থী যারা এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন তাদের মাসে পনেরশো টাকা করে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন আগামী 6 মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক প্রক্রিয়াতে এই যুবশ্রী থেকেই নিয়োগ হবে। এই নিয়োগ সম্পন্ন হলে পরবর্তী দিনে আবার এক লক্ষ বেকারকে ভাতা এবং একইভাবে চাকরি দেওয়া হবে। তাদের অভিযোগ সাত বছরেও এই নিয়োগ কার্যকর হয়নি।
সমস্যার সমাধানে যুবশ্রীর কর্মপ্রার্থীরা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলা মিলিয়ে এক বৃহত্তর ও অদ্বিতীয় অরাজনৈতিক সংগঠন ‘অল বেঙ্গল ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলা হয়। প্রতিটি জেলা থেকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ এবং রাজ্যের মন্ত্রীদের স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অভিযোগ সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি তারা হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিষয়টিতে ফলপ্রসূ কিছু না করা হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন।