উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যৎ কি তবে এই মহিলার হাতে? চলছে জল্পনা

উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যৎ কি তবে এই মহিলার হাতে? চলছে জল্পনা

সিওল: গুরুতর অসুস্থ উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন৷ চলতি মাসের গোড়ায় হৃদপিন্ডে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর৷ কিমের অবস্থা সংকটাপন্ন, এই খবর চাউর হতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে উত্তর কোরিয়ায় কিম জংয়ের পরবর্তী উত্তরাধিকার কে?

পরিবারের যে কোনও সদস্যই সিংহাসনের ভার নিতে পারেন৷ তবে এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন তাঁর বোন কিম ইও জং৷ উত্তর কোরিয়ার রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন তিনি৷ সেই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে ক্ষমতাশীল নারী হিসেবে পরিচিত কিম ইও-জং। এর আগে কিমের পাশে জরুরি বৈঠকগুলিতে বোন ইও-কে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠকেও কিম জংয়ের পাশে দেখা গিয়েছে কিম ইও-কে৷

উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি, সরকার ও সেনাবাহিনীতে কিম ইও-র বিপুল প্রভাব রয়েছে। সর্বোপরী তিনি তাঁর দাদা কিমের প্রতি অনুগত এবং বিশ্বস্ত। অন্যদিকে বোনের প্রতি অগাধ আস্থা রয়েছে কিম জংয়ের। দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থাগুলির পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, কিমের মৃত্যু হলে সরকার ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম পছন্দ হবেন কিমের বোন কিম ইও জং। তবে পুরুষ শাসিত দেশের রাজ্যপাট একজন নারীর হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ তবে অধিকাংশই মনে করছেন, লিঙ্গ ভেদের চেয়ে রক্ত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ এদিকে, গত দুই সপ্তাহ ধরে মিডিয়ার সামনে আসেননি কিম জং উন৷ শোনা যাচ্ছে, তিনি চলা ফেরা পর্যন্ত করতে পারছেন না৷ এই পরিস্থিতিতে কিম ইও জং উত্তর কোরিয়ার প্রথম মহিলা শাসক হবেন কিনা, হঠাৎ করেই এই বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে৷ 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তিন প্রজন্ম ধরে উত্তর কোরিয়ার মসনদে রয়েছে কিম পরিবার৷ ২০১১ সালে বাবার মৃত্যুর পর দায়িত্ব নেন কিম জং উন৷ সেই সময় তরুণ কিমের পারদর্শিতা নিয়েও সংশয়ে ছিল দেশ৷ কিন্তু দক্ষ হাতেই রাজ্যপাট সামলান তিনি৷ অন্যদিকে কিম জং উনের ভাই কিম জং চলের রাজনীতির প্রতি তেমন কোনও আগ্রহ নেই বলেই জানা গিয়েছে৷ গানই তার জীবনের অন্যতম আগ্রহ৷ সে দিক থেকে দেখলেও কিমের পর রাজবংশের দায়িত্ব আসছে তাঁর বোন কিম ইও জং এর হাতেই।

কোরিয়ার এক বিশেষজ্ঞ সো কিমের কথায়, ‘‘ উত্তর কোরিয়ার মানুষের কাছে কিম ইও’র গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না৷ কারণ তিনি কিম পরিবারেরই বংশোধর৷ আর উত্তর কোরিয়ার ভাগ্য শুরু এবং শেষ  কিম পরিবারেই৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *