কলকাতা: বাংলায় করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণের তথ্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর এক সহায়ক। হাতরাস গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে এবং দফতরে তাঁকে চা-জল দেওয়া এবং ফোন ধরার কাজে থাকা সহায়ক দুজনই করোনা আক্রান্ত। তিনি এদিন বলেন প্রবলভাবে নিরাপত্তা নেওয়া সত্ত্বেও করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন অনেকেই।
তাঁর দাবি রাজ্যে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। তিনি এ্দিন বলেন শুধু তার সহায়করাই নয় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন কলকাতা পুলিশের সুপারসহ বহু শীর্ষ পুলিশ কর্তা ও পুলিশকর্মীরা। এছাড়াও দলের বহু সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন বা কারো কারো চিকিৎসা চলছে বলেও এদিন জানান মমতা। তিনি বলেন প্যানডেমিকের জন্য দীর্ঘ ছয় থেকে আট মাস সভা করেননি তিনি বা তার দলের কেউ। কিন্তু বিজেপি টানা সভা করছে বলে দাবি তাঁর।
এদিনের এই সমাবেশ থেকে উত্তরপ্রদেশের হত্রাশের ঘটনা এবং সেখানে তৃণমূল প্রতিনিধিদলকে আটকানোর ঘটনায় সেরাজ্যের সরকারকে তীব্র শ্লেষে বিদ্ধ করেন মমতা। তাঁর দাবি তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে হত্রাশে আটকানো তো হয়েইছে একইসঙ্গে তাদের প্রতি কমপক্ষে কোনও সৌজন্যমূলক ব্যবহারটুকুও করা হয়নি। এমনকি মহিলাদের মারধর করাও হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
তাঁর দাবি শুধু নির্যাতিতার পরিবার বা বিরোধীরা নন, সরকারের নিশানায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশের সংবাদমাধ্যমও। তিনি বলেন উত্তরপ্রদেশের ঘটনার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে এলাকায় ধরণা দিয়েছে সংবাদমাধ্যম। কিন্তু তাঁর কাছে খবর রয়েছে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের নিয়মিত হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।
তাদেরকে বলা হচ্ছে সরকারের হয়ে সংবাদ করতে। দিনের পর দিন দলিতদের অত্যাচার করা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশে বলে দাবি মমতার। তিনি সেরাজ্যের দলিত শ্রেণি, কৃষক, দরিদ্র সম্প্রদায়সহ যাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে তিনি তাদের পথ দেখাতে চান এবং আলোর খোঁজ দিতে বলেও এদিন জানান মমতা৷