কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের সভায় এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটালের সংসাদ দেবের ভূয়সী প্রশংসা করেন। করোনা পরিস্থিতিতে দেব অনেক কাজকর্ম করেছে বলে জানা মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “কোভিডের সময় অনেক লোককে খাইয়েছে দেব। মাঝে মাঝেই আমাকে ফোন করত। বলত দিদি ও নেপালে আটকে আছে, ও বাংলাদেশে আটকে আছে। আমার ভাল লাগত। আমি ওদের কাজগুলো করে দিই।”
প্রসঙ্গত করোনা পরিস্থিতির সময় একাধিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন দেব। কখনও দুস্থদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন। কখনও আবার পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নেপাল, রাশিয়া, দুবাইয়ের মতো জায়গায় আটকে পড়া মানুষদের দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। যখনই কেউ সাহায্যের আবেদন করেছেন, ফেরাননি তিনি। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ক্ষেত্রেও মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাঁর প্রশংসা করছিলেন তখন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান দেব। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁকে ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নেই। এই কাজ যে হয়েছে, যাঁরা করেছেন, তাঁরাই প্রকৃত ধন্যবাদের অধিকারী।
সিএমও গ্রিভান্সের সেল কাজ করছে। এই সেলে পশ্চিম মেদিনীপুরে ৯৮.৮১ শতাংশ কাজ হয়েছে। কিন্তু এখনও ৭ দিনের উপর ৪৩৩টি মামলা পড়ে রয়েছে। অবশ্য যা ছিল তার তুলনায় খুবই কম। ৬২ হাজার ৮০৩টি মামলা নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ৬২ হাজার ৫৮টি মামলারর নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। ৪৩৩টি বাকি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোনও বিশেষ কারণে হতে পারে। করোনার কারণে হতে পারে কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফাঁকি দেওয়ার জায়গা একদম নেই।” এই বাকিগুলো সম্পর্কে বলতে গিয়ে কয়েকটি ডিপার্টমেন্টের কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, এসপির কাছে পড়ে রয়েছে ৪২টি মামলা, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের কাছে রয়েছে ১৫৯টি। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এগুলি সম্ভবত কন্যাশ্রী প্রকল্প। এনিয়ে তিনি কড়া নির্দেশ দেন যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নাম এনরোল করে ফেলা হয়। পঞ্চায়েত ও রুরাল ডেভলপমেন্টে ৭২টি কেস রয়েছে। ফুড সিভিল সাপ্লাই ডিপার্টমেন্টে ৫টি আর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের অধীনে রয়েছে ২২টি মামলা বাকি রয়েছে। এগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিষ্পত্তি করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।