বারাসত: চাকরির দাবিতে এবার সপরিবারে ভোট বয়কটের ডাক দিলেন যুবশ্রীরা। রাজ্যের জেলায় জেলায় ভাতা নয় চাকরির দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। এবার উত্তর ২৪ পরগনা বারাসাত জেলা শাসকের কাছে পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক কর্মপ্রার্থী সমিতির পক্ষ থেকে স্থায়ী কর্মসংস্থানের দাবিতে বারাসাত জেলাশাসক অফিসে বিক্ষোভ দেখান জেলার যুবশ্রীরা৷ ‘দিদি তোমায় ভোট দেব, তার আগে চাকরি নেব’!, ‘ভাতা নয়, চাকরি চাই’ বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে তোলা হয় গুচ্ছ স্লোগান৷
বিভিন্ন ব্লক থেকে আসা কিছু যুবক হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেন। তাদের দাবি ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রতিশ্রুতি দেন এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের বদলে যুবশ্রী বা এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তাদের কর্মসংস্থান হবে একবছরের মধ্যে। তাদের অভিযোগ প্রায় সাত বছর যুবশ্রী প্রকল্প চালু করা হলে কোন কর্মসংস্থান হয়নি। তাদের দাবি চাকরির কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীই তাদের মনে আশার আলো দেখান।
কিন্তু বছরের পর বছর তারা চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন। তারা আরও জানান বর্তমানে রাজ্যে প্রায় রেজিস্ট্রিকৃত যুবশ্রী রয়েছেন চল্লিশ লক্ষ, পরিবারসহ তাদের সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষের কাছাকাছি। তাদের হুঁশিয়ারি ২০২১-এর মধ্যে চাকরির ব্যবস্থা না হলে তারা ও তাদের পরিবার ভোট দেবেন না। আগামীতে এর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছেন এই যুবশ্রীরা।
যুবশ্রীদের এই আন্দোলন রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই চলছে। করোনার আবহে যেখানে দিন চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। সেখানে মাত্র দেড় লক্ষ টাকা ভাতায় কীভাবে জীবন চলবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন যুবশ্রীরা। তাদের অভিযোগ ভাতা ঘোষণার পর থেকেই তাদের কথা ভাবছে না সরকার। ফলে তাদের দাবি ভাতা নয় চাকরি চাই। প্রতিশ্রুতি পালনের আশ্বাস দিয়েও মুখ্যমন্ত্রী তা পূরণ করেননি ফলে তা ওপর তাদের আস্থা কিছুটা হলেও টলেছে। যদিও এখনও তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চাকরির আ্শ্বাস চাইছেন। প্রতিশ্রুতি রক্ষার আশ্বাস মিললে তবেই ফের সরকারের প্রতি আস্থা ফিরবে যুবশ্রীদের। নাহলে চূড়ান্ত বিরোধিতার পথেই এগোতে চান তাঁরা।