দলের মিছিলে বোমা মারার ‘সাজা’, গ্রেফতার বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতা

দলের মিছিলে বোমা মারার ‘সাজা’, গ্রেফতার বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতা

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, বীরভূম: বিজেপির মিছিলে বোমাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতাই। এমন ঘটনায় অবাক সাধারণ মানুষ। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই একাজ করেছে পুলিশ। বীরভূমের পাড়ুইয়ের ঘটনা। বুধবার পাড়ুই থানা এলাকায় বিজেপির মিছিল চলাকালীন মিছিল লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এছাড়া সঙ্ঘর্ষও বাধে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে।

ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পাড়ুই থানায় যান বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি শেখ সামাদ। তিনি ও তাঁর তিন সহযোগীকে তখনই গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ এই ঘটনায় মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ধৃতদের মধ্যে চারজন বিজেপি ও ৪ জন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের সিউড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

বিচারক ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। এদিকে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন দলের জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল। তিনি বলেন, দলের কর্মীদের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক বোমাবাজি করে।

কর্মসূচি হওয়ার পর শেখ সামাদ সহ কয়েকজন কর্মী সেই ঘটনার বিরুদ্ধে পাড়ুই থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। সেখানেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে ফলে যেকোনও ধরণের সমাজবিরোধী কার্যকলাপে তাদের দলের নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন ২০২১ এলেই এর বিচার হবে।

বুধবার বিজেপির গণ ডেপুটেশন প্রদান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাড়ুই। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বচসা থেকে এলাকায় সঙ্ঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পুলিশকে। যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 5 =