ক্যানিং: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের মাতলা নদীর চর জুড়ে চলছে অবৈধ দখলদারির স্বর্গরাজ্য। দিনের পর দিন নদীর চর বেদখল হয়ে যাচ্ছে, ক্ষতি হচ্ছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভের। আরও বিপদের কথা হল মাতলার চরে জবরদখলকারীদের বেশীরভাগই ভিনদেশি বলে অভিযোগ। তাদের না আছে কোনও পরিচয়পত্র না আছে বৈধ কাগজপত্র। অথচ টাকা দিলে মিলছে চাহিদামত জমি।
শাসকদলের এক শ্রেণির নেতার মদতে এলাকায় জবরদখল করে এই ভিনদেশিরা অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এমনকি এদের মধ্যে জঙ্গিরা থাকতেও পারে বলে আশঙ্কা করছেন খোদ বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। পুরো বিষয়টির পিছনে দলেরই এক শ্রেণিকে দায়ী করছেন বিধায়ক। ফলে এক্ষেত্রে গোষ্ঠীকোন্দলের আভাসও মিলছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্যানিং-১ বিডিও অফিসের সামনে কয়েকশো বিজেপি কর্মী সমর্থক বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ মাতলা-১ ও ২, দিঘিরপাড় সহ বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু শাসক দলের প্রভাবশালী নেতা লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে মাতলা নদীর চড়ে অবৈধ ভাবে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে ভিনদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বসানো হচ্ছে। আর এই মাতলা নদীর চরে ব্যাঙের ছাতার মতন গজিয়ে উঠেছে অবৈধ ঘরবাড়ি।
তাদের দাবি, যারা এই অবৈধ কাজে যুক্ত তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে। বিজেপি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূর্ব জেলার কনভেনার স্বপন বৈদ্য এবং বিজেপির জেলা সহ সভাপতি মামনি দাস জানান, ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। নাহলে ক্যানিং মহকুমা জুড়ে চলবে বিজেপির বৃহত্তর আন্দোলন।
তাদের আরও হুঁশিয়ারি, অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী দিন ক্যানিং এসডিও এবং ভিডিও অফিসের সামনে লাগাতার আন্দোলন বিক্ষোভ অবস্থান চলবে। শাসকদলের বিধায়কের স্বীকারোক্তি, বিরোধী নেতাদের হুঁশিয়ারিতে কী আদৌ চিঁড়ে ভিজবে? উত্তর রয়েছে সময়ের গভীরেই।