বীরভূম: বুথভিত্তিক কর্মিসভায় প্রায় রোজই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ছে। একের পর কর্মিসভাগুলিতে অভিযোগ শুনতে হচ্ছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুন্নয়নের প্রশ্ন শুনতে শুনতে ক্লান্ত অনুব্রত সরাসরি এবার দায়ী করতে শুরু করছেন দলের জেলা নেতৃত্বকে। এমনকি সরাসরি কৃষিমন্ত্রীকেই প্রকাশ্য সভায় অপদার্থ বলতে শোনা গেল বীরভূমের জেলা সভাপতিকে।
বুথভিত্তিক সমীক্ষার পর্বে রামপুরহাট কিষাণ মান্ডিতে একের পর বুথ সভাপতিদের প্রশ্ন করতে থাকেন অনুব্রত মণ্ডল। এই সময়ে আয়াস পঞ্চায়েতের অধীনে ৪০ নম্বর বুথ সভাপতি মাধব মণ্ডলের সঙ্গে অনুব্রতর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। মাধববাবুর দাবি তাঁর এলাকায় মোটে কুড়ি শতাংশ রাস্তা হয়েছে। বাকি রাস্তার অবস্থা বেহাল।
বাকি সব উন্নয়ন হয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন অনুব্রত। তাতে মাধব বলেন বাকি উন্নয়ন হলেও গ্রামের মানুষ উন্নয়ন বলতে রাস্তা ও পানীয় জলের ব্যবস্থাকেই বোঝে। একের পর প্রশ্ন অনুব্রত তুললেও রাস্তার উন্নয়নের প্রসঙ্গেই আটকে থাকেন মাধব। এলাকায় দলের অঞ্চল সভাপতিকে এরপর উঠে দাঁড়াতে বললে তখন উঠে দাঁড়ান পঞ্চায়েত প্রধান। ক্ষিপ্ত অনুব্রত তখন সকলের সামনেই কৃষিমন্ত্রীকে অপদার্থ বলেন। পরে অবশ্য পঞ্চায়েত প্রধানকে তিনি উন্নয়নের টাকা সমবন্টনের কথা বলেন। যদিও মাধব মণ্ডলকেও কড়াভাষায় দাবড়ে দেন অনুব্রত। বলেন লিখিত অভিযোগ দিন, দাদাগিরি করবেন না।
এদিন উন্নয়ন প্র,সঙ্গে অনুব্রতকে একহাত নেন এক মহিলা বুথ সভাপতি। জেলা সভাপতিকে উন্নয়ন প্সঙ্গে তিনি নিজের এলাকায় গিয়ে দেখে আসতে বলেন কী উন্নয়ন হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের বুথভিত্তিক এই কর্মিসভাগুলি আপাতত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের। রোজই কিছু না কিছু বিতর্ক তৈরী হচ্ছে এই সভাগুলিকে ঘিরে।
রূঢ়ভাষী বলে সমালোচিত অনুব্রতকেই আপাতত নিজেদের ক্ষোভ জানিয়ে ফেলছেন বুথ সভাপতিরা। খোলা মঞ্চে এই সমস্ত অভিযোগের কথা সবাই জানতে পারছেন, ফলে কিছুটা হলেও এতে দলের মুখ পুড়ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।