নিজস্ব প্রতিনিধি, গোসাবা: সালিশি সভায় বিচারের নামে মারধর করে আত্মহত্যা সাজানোর জন্য বিষ খাইয়ে ‘খুনে’র অভিযোগ। দক্ষিণ ২৪ পরগানর গোসাবা থানার পাঠানখালির তালতলা গ্রামের ঘটনা৷ অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে! অভিযোগ অস্বীকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের৷ পরিবারিক বিবাদ, দাবি শাসকদলের৷
জানা গিয়েছে, মৃত গোলাম রসুল মোল্লার স্ত্রীর পারিবারিক বিবাদ চলছিল৷ অভিযোগ, সেই বিবাদ মেটানোর জন্য বৃহস্পতিবার সকালে গোলাম রসুল মোল্লাকে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় তৃণমূলের কর্মীরা। বিচার করার নাম করে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ৷ এমনকি ঘটনাটি আত্মহত্যার রূপ দিতে তাঁর মুখে জোর করে বিষ ঢেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ৷ ঘটনায় মৃতের এক কন্যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি জানাজানি হয়৷ যদিও, ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল ডট কম৷ গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷
ভিডিওটি পুলিশ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে৷ এই ভিডিও কোথা থেকে এল এবং ভিডিও সত্যতার যাচাই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিসে ঘটনাটি ঘটেছে কিনা জানা, তা তাদের নেই৷ তবে পারিবারিক বিবাদ ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ এদিকে গোসাবা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের অচিন পাইক বলেন, গোলাম রসুল মোল্লা ও তার স্ত্রীর পারিবারিক বিবাদ৷ দীর্ঘদিন ধরে সে তাঁর স্ত্রী উপর নির্যাতন করছিল৷ বিষয়টি গ্রামভিত্তিক বসে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়েছিল৷
স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি, বারবার গোলাম রসুলকে বলা হয় স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যেতে কিন্তু তিনি রাজি হননি৷ এরপর তাঁকে জোর করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ গোলাম রসুল মোল্লা বাড়িতে আত্মহত্যা করেন৷ তাঁর দাবি তৃণমূলকে হেয় করার জন্য এটা করা হচ্ছে৷ তৃণমূলের পার্টি অফিসে কোন কিছুই হয়নি৷ রাস্তার উপর হয়েছে৷ এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নেই৷ গ্রামে সবাই মিলে একটা গ্রাম সালিশি হয়৷ এটা দলের সালিশি নয়৷ এদিকে এই ঘটনায় বিরোধী দলগুলি পূর্ণ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে৷ সালিশির ঘটনায় তৃণমূল দায় এড়ালেও এসলাকার মানুষ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান৷