নদীর চরে ফেলে নাবালিকাকে ধর্ষণ, হাসপাতালে ভর্তি কুলতুলির নির্যাতিতা!

নদীর চরে ফেলে নাবালিকাকে ধর্ষণ, হাসপাতালে ভর্তি কুলতুলির নির্যাতিতা!

নিজস্ব প্রতিনিধি, কুলতলি: উত্তরপ্রদেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সরব গোটা দেশ৷ পথে নেমেছে অবিজেপি সমস্ত রাজনৈতিক দল৷ উত্তরপ্রদেশের হাথরসকাণ্ডে দলিত কন্যা ধর্ষণ ও পুলিশ দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া প্রতিবাদে কলকাতার রাস্তায় হয়েছে প্রতিবাদ-মিছিল-সভা৷ কিন্তু, সেই প্রতিবাদের রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলায় ফের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতুলি থানার মেরিগঞ্জ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নোয়াপাড়া গ্রামে৷

অভিযোগ, আজ ভোরে জোর করে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নদীর চরে ধর্ষণ করে স্থানীয় এক অভিযুক্ত৷ তারপর সেখানেই ওই নাবালিকাকে ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি৷ এমনকি ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মারার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়৷  ধর্ষণের পর নদীর চরে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল নাবালিকা৷ অচেতন অবস্থায় গ্রামের মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা পরিবারের লোককে খবর দেন৷ স্থানীয়দের পাওয়া খবর পেয়ে পরিবারের লোক গিয়ে নির্যাতিতা নাবালিকাকে উদ্ধার করেন৷ বর্তমানে ওই নাবালিকা জয়নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোররাতে শৌচালয়ে গিয়েছিল ওই নাবালিকা৷ ওই সময় নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছিল অভিযুক্ত শামসুল ঘরামি৷ নাবালিকাকে একা পেয়ে মুখ চাপে নদীর চরে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত৷ সেখানেই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ৷ এই ঘটনায় কুলতলি থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ৷ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শামসুল ঘরামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামবাসীরা অভিযুক্তর কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন৷

বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের প্রধান যখন উত্তরপ্রদেশের হাথরস কাণ্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন, তখন তাঁর বাংলায় একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে! বিরোধীদের দাবি, অন্যের রাজ্যের দিকে না তাকিয়ে নিজের রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা জরুরি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *