নিজস্ব প্রতিনিধি, রামপুরহাট:অনুব্রত মণ্ডলের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে বীরভূমের ভোটের হাওয়া সরগরম। কদিন আগেই কৃষিমন্ত্রীকে অপদার্থ বলে ঢোঁক গিলেছেন। অপদার্থ মন্ত্রীকেই প্রার্থী ঘোষণা করে বুকে টেনে নিয়েছেন। এবার তাঁর রোষে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য। ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের রামপুরহাট দুনম্বর ব্লকের কর্করিয়ায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বুথভিত্তিক সমীক্ষার জন্য ব্লকে ব্লকে যে কর্মিসভা করছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি সেরকমই একটি ছিল সোমবার রামপুরহাট দুনম্বর ব্লকের কর্করিয়ায়।
বুথ সভাপতিদের অভাব অভিযোগের কথা শুনছিলেন অনুব্রত। প্রথামত এই সভাতেও উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগ তোলেন বুথ সভাপতিরা। বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের ১৮৯ নম্বর বুথ সভাপতি গ্রামের পানীয় জলের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন অনুব্রত। ক্ষেপে ওঠা অনুব্রত মন্ডল পঞ্চায়েত প্রধানকে নির্দেশ দিয়ে দেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যকে কোন কাজ যেন না দেওয়া হয়। সেই সময় অনুব্রত ওই সদস্যকে অপদার্থ সদস্য এবং ফালতু লোক বলে কটূক্তি করেন।
বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির এই কর্মিসভাগুলি প্রায় রোজই খবরের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে। প্রতিদিন বিতর্ক তৈরী হচ্ছে এগুলিকে কেন্দ্র করে। রূঢ়ভাষী বলে সমালোচিত অনুব্রতর এই সভাগুলি নিয়ে সমালোচনাও বড় কম হচ্ছে না। কোনওদিন তিনি বুথ সভাপতিকে সরাচ্ছেন, কোনওদিনও বুথ সভাপতি ভোট লুঠের কথা বলে ফেলছেন আর প্রতিনিয়তই সভায় বুথ সভাপতিরা অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলছেন। সরাসরি বলেই বসছেন ভোট চাইব কোন মুখে।
এমন পরিস্থিতিতে আর বুঝিবা মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে পারছেন না মমতার কেষ্ট। নিজের দলের জেলা নেতৃত্বকে তো অপদার্থ বলেই ফেলেছেন, যদিও পরে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টাও করেছেন। এবার পঞ্চায়েত সদস্যকেও ফালতু লোক বলে দিলেন। রাজনৈতিক মহলের দাবি রোজকার এই বিতর্কে দলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন অনুব্রত। এতে সমীক্ষার পর্ব ঠিকঠাক মিটলেও আদতে কিন্তু ভোটের ফল কতটা তৃণমূলের অনুকূলে হবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।