পুলিশের জলকামানে ছিল করোনা! মানবাধিকার কমিশনে বিজেপির অভিযোগ

পুলিশের জলকামানে ছিল করোনা! মানবাধিকার কমিশনে বিজেপির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: গত ৮ অক্টোবর নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচিতে শহরের রাজপথে নামে বিজেপির যুব মোর্চা। কর্মসূচিতে ছিলেন জাতীয় যুব মোর্চার নেতা তেজস্বী সূর্য,  রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খানসহ যুব মোর্চার নেতারা। বিভিন্ন এলাকায় ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় যুব মোর্চার নেতা কর্মীদের। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে থাকলে জল কামান ছুঁড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। কামানের জলে যুব মোর্চার নেতা কর্মীদের পোশাক রঙিন হয়ে যায়।

বিজেপির অভিযোগ,  এই জল গায়ে লাগায় অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা। যুব রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ,  রঙিন জলে করোনা ভাইরাস মেশানো ছিল এবং  তা দিয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের মারার পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। দিল্লিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে দেখা করে এই অভিযোগ তুলল স্বপন দাশগুপ্তের নেতৃত্বাধীন বিজেপি প্রতিনিধি দল। উপস্থিত ছিলেন দলের সাংসদ তথা রাজ্য যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খানও।

যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খানের অভিযোগ,  যে রঙিন জল প্রয়োগ করা হয়েছে  তাতে কোভিড ভাইরাস মেশানো ছিল। তার অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপি এবং হাওড়ার পুলিশ কমিশনার। এদিন মানবাধিকার কমিশনে দেখা করে ঘটনার তদন্তের দাবি করেন সৌমিত্র খান। দলের রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের অভিযোগ, সেদিনের জল কামান থেকে যে রঙিন জল ছোঁড়া হয়  তাতে রাসায়নিক মেশানো হয়।

তিনি বলেন পুলিশ ভিড় সামলানোর চেষ্টা করেনি বরং ভিড়কে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করে। শুধুমাত্র মানবাধিকার কমিশনেই নয়, নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। ফলে আপাতত নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে রাজ্যের শাসকদলকে অস্বস্তিতে ফেলার পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য নতুন ইস্যু খুঁজে নেওয়ার ব্যবস্থা পাকা করতে চাইছে পদ্ম শিবির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *