বারাসত: বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে অনার্স পিজির শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্মারকলিপি জমা দিলেন। বারাসত ডিআই অফিসে এই স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। তাদের দাবি অন্য জেলার ডি আই অফিসের মত বারাসতেও বদলির ক্ষেত্রে অনার্স-পিজি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নরমাল সেকশনে অবিলম্বে বদলি শুরু করতে হবে। করোনা আবহের জন্য উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একজন প্রতিনিধির সাথে দেখা করেন ডিআই। প্রতিনিধি অতনু রায় প্রশ্ন তোলেন, একই রাজ্যে বদলি ক্ষেত্রে জেলাভিত্তিক আলাদা নিয়ম কেন? এ বিষয়ে বারাসতের ডিআই সুজিতকুমার মাইতি জানান, ‘‘আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি অনার্স ও পিজি পোস্টের শিক্ষকদের পোস্টিং সমস্যার দ্রুত সমাধান করার। কীভাবে অনার্স ও পিজি শিক্ষকদের অনার্স ও পিজি শিক্ষক পোস্টে বদলি করা যায় তার জন্য আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি৷’’
আলোচনার পর উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা সিদ্ধান্ত নেন পুজোর ছুটির পরেও তাদের বদলি সমস্যার সমাধান না হলে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন। ইমেল মারফতে স্মারকলিপির প্রতিলিপি শিক্ষামন্ত্রী, স্কুল শিক্ষাসচিব, স্কুল শিক্ষা কমিশনার ডেপুটি ডাইরেক্টর (গ্রান্ট-ইন-এড), মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের অভিযোগ সংক্রান্ত বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় স্কুল সার্ভিস কমিশন চেয়ারম্যান ও সচিবকে পাঠানো হয়।
একই দাবিতে শিক্ষক সংগঠন এপিজিটিডব্লুএ এর ট্রান্সফার মঞ্চ অল বেঙ্গল ট্রান্সফার ফোরাম বিকাশ ভবনে ডেপুটেশন দেয়। অনলাইন ট্রান্সফার পোর্টালে নর্মাল সেকশনের অনার্স পিজি টিচারদের সঙ্গে এইচএস সেকশনের অনার্স পিজি টিচারদের মিউচুয়াল ট্রান্সফারে সমস্যা, মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী এবং স্কুল শিক্ষাকর্মীদের অনলাইন ট্রান্সফার শুরু, নবনিযুক্ত টিচারদের কনফারমেশন সহ বিবিধ দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, কমিশনার, মাদ্রাসা কমিশন, এসএসসি সেক্রেটারির দাবিপত্র জমা দেওয়া হয়৷