কলকাতা: ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতা পুরসভায় দুর্গাপুজোর ছুটি থাকলেও স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের আধিকারিক ও কর্মীদের ছুটি নেই। শহরজুড়ে প্রশাসনের তরফে নেওয়া কোমর্বিডিটির সমীক্ষার নথি জোগাড়ে ব্যস্ত থাকবেন তাঁরা। পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকদের দাবি, সব নথি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের জমা করতে বলা হয়েছে৷ তিন সপ্তাহ আগে কোমর্বিডিটি সমীক্ষার সব কাজ দুই ধাপে সম্পন্ন হয়ে গেছিল৷ এর মধ্যেই নথি জোগাড়ের কাজটা পুরোপুরিভাবে শেষ করাই বাকি রয়েছে৷ যা এমাসের মধ্যেই সম্পন্ন করতে চাইছে সংশ্লিষ্ট দফতর৷
এরকম একটি জরুরিভিত্তিক কাজের কথা মাথায় রেখে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের এই উৎসবের মরসুমে কাজ করার কথা বলা হয়েছে৷ কিছু শীর্ষ আধিকারিক এই উৎসবের সময় তাদের সাহায্যের জন্য উপস্থিত থাকবেন৷ কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে এই নথি জোগাড়ের কাজ বাধা পায় নেটওয়ার্কের সমস্যার জন্য। এক বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য নথি জোগাড়ের কাজ বিঘ্নিত হয়, সঠিক সময়ে কাজ শেষ করার জন্য আরো বেশী পরিমাণ ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হবে।
মোটামুটি আইসিএমআরের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৬ অক্টোবর অবধি রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩,১৩,১৮৮। ছাড়া পাওয়া বা সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ২,৭৪,৭৫৭। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫,৯৩১। গত ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত অযাক্টিভ কেস ৩২,৫০০। ছাড়া পাওয়া বা সুস্থ হওয়ার হার ৮৭.৭ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত ৪৩,২২৭ টি নমুনা নেওয়া হয়েছে পরীক্ষার জন্য। বলা হচ্ছে পুজোর পরই দেশে ও রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। ফলে এখন থেকেই সেবিষয়ে আঁটঘাট বেঁধে সতর্ক থাকতে চাইছে প্রশাসন।
পুজোয় যাতে মানুষ ভিড় করে ঠাকুর না দেখেন তার জন্য বারবার মানুষের কাছে আবেদন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও মাস্ক পরা এবং অন্যান্য করোনা বিধি মেনে চলার কথাও প্রচার করা হচ্ছে। ফলে সমীক্ষা এবং নথি জোগাড়ের এই কাজ যে যথেষ্ট জরুরিভিত্তিক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷