২১-এর আগে নন্দীগ্রামে অগ্নিপরীক্ষা তৃণমূলের, সুর চড়াচ্ছেন বহিষ্কৃত শাবহুদ্দিন

২১-এর আগে নন্দীগ্রামে অগ্নিপরীক্ষা তৃণমূলের, সুর চড়াচ্ছেন বহিষ্কৃত শাবহুদ্দিন

কলকাতা: ভোটের আগে দলীয় কোন্দলের মধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এখন সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম৷ দুর্নীতির অভিযোগে নন্দীগ্রামের প্রভাবশালী নেতা সেখ শাহবুদ্দিনকে সাসপেন্ড করার পর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত৷ দল থেকে বহিষ্কারের পরেই তাঁর পাল্টা হুঁশিয়ারি, এই ‘মত বিরোধ’ দূর না হলে নন্দীগ্রাম থেকে মুছে যাবে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্তিত্ব৷ 

আরও পড়ুন- মণ্ডপে নয়, ভিড় হবে অনলাইনে! করোনা আবহে পদক্ষেপ ৫০ বড় পুজো কমিটির

এদিকে সাসপেন্ড হওয়ার পরই প্রতিবাদ জানিয়ে নন্দীগ্রামে ‘শক্তি প্রদর্শন’ মিছিল বার করেন শাহবুদ্দিন৷ তাঁর দাবি, দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির শিকার হয়েছেন তিনি৷ শাহবুদ্দিনের কথায়, ‘‘আমার বিরুদ্ধে এই এলাকায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ গতকাল আমি একটি জনসভার আয়োজন করেছিলাম৷ ওই সমাবেশে নেমেছিল মানুষের ঢল৷ আমি যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হই, তাহলে স্থানীয় মানুষ কি এই ভাবে আমাকে সমর্থন করত?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ ভত্তিহীন ও সাজানো৷ আমি এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে কোনও সাসপেনশন লেটার পাইনি৷ ওঁনার কাছে আমার আর্জি, আমাকে কেন্দ্র করে যে সমস্যার সূত্রপাত, তা সমাধান করা হোক৷ কেননা আমি আগামী দিনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের কোনও অস্তিত্বই দেখতে পাচ্ছি না৷’’ 

সেখ শাহবুদ্দিন নন্দীগ্রামের একজন দাপুটে নেতা৷ তাঁর সমর্থন যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছেই ২১-এর নির্বাচনে জয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে৷ নন্দীগ্রাম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি ছোট্ট এলাকা৷ ২০০৭ সালে এই নন্দীগ্রামই হয়ে উঠেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল৷ এখান থেকেই বদলে গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতির পাশা৷ তৈরি হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশের করিডোর৷ 

আরও পড়ুন- বাতিল পুজোর ছুটি, উৎসবের আবহে কোমর্বিডিটির তথ্য তালাশ পুরসভার

গত ১৩ অক্টোবর শাহবুদ্দিন, তাঁর স্ত্রী মনসুরা বিবি (কেন্দ্রমারির গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান) এবং আরও দুই প্রভাবশালী নেতাকে সাসপেন্ড করার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম৷ আম্পান ত্রাণ বিতরণে কারচুপির অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে৷ দলের নির্দেশ সত্ত্বেও এই চার অভিযুক্ত ইস্তফা দিতে না চাওয়ায়, তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়৷ অভিযোগ, দলের নির্দেশ অমান্য করেই শাহবুদ্দিনের কথায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের গদি দখল করে রাখেন মনসুরা বিবি৷ দলের সাংসদ তথা তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘কিছু নেতা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত৷ দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা মান্য করা উচিত৷’’    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + 8 =