হাইকোর্টের নির্দেশে দর্শকশূন্য মণ্ডপ, কী বললেন রাজনৈতিক নেতারা?

হাইকোর্টের নির্দেশে দর্শকশূন্য মণ্ডপ, কী বললেন রাজনৈতিক নেতারা?

কলকাতা: এবার দর্শক শূন্য থাকবে প্রতিটি পুজো মণ্ডপ৷ প্রতিটি মণ্ডপ কন্টেনমেন্ট জোন বলে চিহ্নিত করা হবে৷ ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে দূরত্ব হবে ৫ মিটার এবং বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে দূরত্ব হবে ১০ মিটার৷ এই দূরত্বের মধ্যে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না৷ পুজো অনুমতি শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷ আদালতের নির্দেশ, পুজোর চারপাশ ব্যারিকেড করে ফেলতে হবে৷ ঝোলাতে হবে নো –এন্ট্রি বোর্ড৷ হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, যেখানে মানুষের জীবন সঙ্কটে, সেখানে কী ভাবে এই উৎসব? আদালতের এই সিদ্ধান্তে নিজেদের মতামত জানালেন সৌগত রায়, অধীর রঞ্জন চৌধুরীরা৷ 

আরও পড়ুন- BIG BREAKING: পুজোর মণ্ডপে নো-এন্ট্রি, হবে দর্শকশূন্য, রায় ঘোষণা হাইকোর্টের

আদালতের এই রায়ের পর তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে৷ কিন্তু এটা রূপায়ন করতে হবে পুজো কমিটিগুলোকে৷ এই রায়ের ফলে কমিটিগুলির খুবই সমস্যায় পড়বে৷ কারণ পুজো করার জন্য কমিটিগুলি যে পরিশ্রম করেছে. সেটা প্রায় নষ্ট হতে বসেছে৷ রাজ্য সরকার পুজো করার জন্য যে সাহায্য দিয়েছে সেটাও আর কাজে লাগানো যাবে না৷ এই রায়ে তিনি দুঃখিত বলেও জানান সৌগতবাবু৷ তিনি বলেন, রাজ্য সরকার এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে কী বলে আমরা সে দিকেই তাকিয়ে থাকব৷ কারণ এই নির্দেশ রাজ্য সরকারকেই দেওয়া হয়েছে৷ তাঁর কথায়, মানুষের জীবন সংশয়ে সেটা আমরা সবাই জানি৷ তা সত্ত্বেও ভারতবর্ষে সমস্ত পুজো, সমস্ত অনুষ্ঠান এখনও বন্ধ হয়ে যায়নি৷ বরং আনলকের প্রক্রিয়া চলছে৷ হাইকোর্টের মনে প্রশ্ন থাকেতই পারে৷ যাঁরা পুজো করছে, তাঁরাও তো করোনা আক্রান্ত হতে চায় না৷ নিয়ম বিধি মেনেই পুজো করতে চাইছিল৷ এখনও চায়৷ কিন্তু হাইকোর্টের এই রায়ের পর তা কতটা করা সম্ভব হবে, তা বলা এখনও সম্ভব নয়৷ 

আরও পড়ুন- প্রতিটি মণ্ডপ হোক কনটেনমেন্ট জোন, দর্শকশূন্য পুজোর পক্ষে হাইকোর্ট

এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, যেখানে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে তাঁর বলার কিছু নেই৷ তবে বাংলায় দুর্গাপুজো মানে শারদীয়া উৎসব৷ বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসব৷ তবে বাংলার মানুষকে মেনে নিতে হবে যে, এবার আর প্রতিবারের মতো উৎসব পালন করা সম্ভব নয়৷ যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে এবং আগামী দিনে বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক৷ এমনকী বাংলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে৷ সেখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের বাঁচাব না পুজোর উৎসব পালন করব? সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে পুজো আর পুজো থাকবে না৷ চারিদিকে প্যান্ডেল হচ্ছে৷ সরকার পুজো করার জন্য টাকাও দিচ্ছে৷ কোনও বাধা বিপত্তি নেই৷ তবে  শারদোৎসব বলতে আমরা যা বুঝি, সেটা আর থাকবে না৷ উৎসবমুখর মানসিকতা ত্যাগ করে আমাদের সংযত ও সংযমী হয়েই পুজো করতে হবে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + 18 =