কলকাতা: দুর্গাপুজোয় মাততে চলেছে কলকাতা। ইতিমধ্যেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে প্রতিমা এসে গিয়েছে। অন্যান্য বছর এই সময় জনজোয়ারে ভাসে তিলোত্তমা। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম। তবে তা সত্ত্বেও দিন দুই ধরে শ্রীভূমি সহ একাধিক মণ্ডপে দর্শনার্থীরা ভিড় করেছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর প্যান্ডেলে যাওয়ায় বাধা পড়েছে।
এ বছর কলকাতার একাধিক মণ্ডপে উঠে এসেছে করোনা, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা। বড়িশা ক্লাবের প্রতিমা ইতিমধ্যেই সবার চোখ টেনেছে। কলকাতার আর একটি মণ্ডপে দুর্গাকে চিকিৎসকের আদলে সাজানো হয়েছে। লক্ষী, কার্তিক, গণেশ, সরস্বতীও করোনা যোদ্ধাদের আদলেই সেজে উঠেছেন।
কিন্তু দুর্গাপুজোয় যদি দর্শনার্থী সংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে পাল্লা দিয়ে বাড়বে করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ৩.২ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৬ হাজারেরও বেশি। তাই সৌরভ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছে রাজ্যের সমস্ত প্যান্ডেলগুলি কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হল।
প্যান্ডেলের ৫ থেকে ১০ মিটার আগে থেকে ব্যারিকেড দিয়ে দিতে হবে। ব্যারিকেডে নো এন্ট্রি বোর্ড ঝোলাতে হবে। বারোয়ারি পুজো মণ্ডপগুলিতে শুধু ১৫ থেকে ২৫ জন পুজো উদ্যোক্তা ছাড়া আর কেউ উপস্থিত হতে পারবে না। কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর পুজোর শেষ প্রস্তুতি পর্বে চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় পড়েন পুজোকমিটির একাংশ৷ হাইকোর্টের নির্দেশ পুনরায় খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছে ফের আদালতে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে৷
হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে ফের উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল ফোরাম ফর দুর্গাপুজা কমিটির প্রতিনিধিরা৷ জরুরি ভিত্তিতে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে৷ আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত৷ সব পক্ষকে নোটিস পাঠিয়ে বুধবার আদালতে এই বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা৷