কলকাতা: সারা দেশজুড়ে প্রতি বছর পূর্ণ উদ্দীপনা আর উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয় বিজয়া দশমী বা দশেরা৷ নয় দিন ধরে নবরাত্রি পালনের পর আসে মায়ের বিদায়ের পালা৷ দুটি ঘটনার জন্য এই দিনটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ৷ এদিনেই রাবণকে পরাজিত করেছিলেন প্রভু শ্রী রাম৷ অন্যদিকে, মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন দেবী দুর্গা৷ বাঙালির কাছে বিজয়া মানেই দেবী বরণ, সিঁদুর খেলা আর সবশেষে মিষ্টি মুখ৷
আরও পড়ুন- চোখের জলে দেবীর বিদায়, আবার এসো মা… প্রার্থনা গিরিরাজ-মেনকার
প্রতি বছর আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে পালিত হয় বিজয়া দশমী৷ এই বছর উত্তরভারতে রবিবার বিজয়াদশমী পালিত হয়েছে৷ তবে পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্বের রাজ্যগুলিতে সোমবার পালিত হচ্ছে বিজয়া৷ বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গা পুজো৷ দশমীতে মায়ের বিদায়ের মধ্যে দিয়ে সমাপ্ত হয় এই উৎসবের৷ বিজয়ায় বিবাহিত মহিলারা মাকে বরণ করার পর মাতে সিঁদুর খেলায়৷ একের পর এর মহিলা মাকে বরণ করার পর তাঁর সিঁথিতে ও পায়ে সিঁদুর ছুঁইয়ে দেন৷ দেবী বরণ করার পরই হই হই করে শুরু হয় সিঁদুর খেলা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে দেন বিবাহিত মহিলারা৷ সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়ার পর শাখা, পলা এবং নোয়াতেও সিঁদুর ছোঁয়ানো হয়৷ তার পর খেলার ছলেই একে অপরের গালে, কপালে সিঁদুরে রাঙা করে দেয়৷ আর সবশেষে আসে মিষ্টি খাওয়ার পালা৷
আরও পড়ুন- বিষাদের সুরে নিরবে বিদায় মায়ের, হল না সিঁদুর খেলা-মাতৃ বরণ
এই দিন বাঙালি বধূরা সাধারণত লাল পাড় সাদা শাড়িতে সেজে ওঠেন৷ কী থেকে এই প্রথার শুরু তা অবশ্য জানা নেই৷ কিন্তু ঐতিহ্য পরম্পরায় বিজয়া দশমীর দিন সিঁদুর খেলার রীতি চলে আসছে৷ মনে করা হয়, সিঁদুর খেলা নারীদের শক্তির প্রতীক৷ সিদুঁর খেলা সৌভাগ্য নিয়ে আসে এবং স্বামী দীর্ঘায়ু হয়৷ তবে এখন সিঁদুর খেলার আচারটি আরও বিস্তৃত৷ এখন অবিবাহিত মেয়ে, এমনকী বিধবা ও পুরুষরাও সিঁদুর খেলায় সামিল হন৷