নয়াদিল্লি: উত্সব মরসুমে, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং দিল্লিতে বেড়ে গিয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার! আশঙ্কার কথা শোনাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, পাঁচটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে (মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, ছত্তিশগড় এবং কর্ণাটক), গত ২৪ ঘন্টায় ৫৮% নতুন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দশটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সক্রিয় সংক্রমণের হার ৭৮ শতাংশ। যদিও এর মধ্যে আশার আলো সুস্থতার হার, যেটি এখন ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ মানুষকে সুস্থ করতে মাত্র ৫৭ দিন সময় লেগেছে, তবে সর্বশেষ ১০ লক্ষ মানুষকে সুস্থ করতে সময় লেগেছে ১৩ দিনে, যা সন্তোষজনক লক্ষণ বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নীতি আয়গের এক সদস্য ভিকে পল বলছেন, অনেক বৃহত্তর অর্থনৈতিক সামর্থ্যযুক্ত, মাথাপিছু আয় এবং সুস্বাস্থ্যের ব্যবস্থা সম্পন্ন দেশ করোনার সেকেন্ড ওয়েবে প্রায় হিমশিম খাচ্ছে। আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে আমাদের প্রবণতা বিপরীত দিকে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা রাজ্য সরকারগুলিকে সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে এবং ভ্যাকসিনের মানদণ্ড সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। অগ্রাধিকার গোষ্ঠীগুলিতে ভ্যাকসিন সরবরাহ করার জন্য সংস্থানগুলির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই বলে জানান হয়েছে।
অন্যদিকে, আইসিএমআরের তরফে জানান হয়েছে, ক্লিনিকাল টেস্টিংয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনটি ভ্যাকসিন রয়েছে। এদিকে, কোভাক্সিন তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য অনুমোদন পেয়েছে, ক্যাডিলা দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালের সাথেও অগ্রগতি করছে এবং সিরামটি দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ করছে। ওদিকে, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ট্রায়াল রয়েছে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৩৬ হাজার ৪৬৯ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ১৪৯ জন। দেশে মোট আক্রান্ত ৭৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪২৯। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৬৩ হাজার ৮৪২ জন। গতকাল দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ছিল ৫৯ হাজার ১০৫ জন। দেশে মোট সুস্থ ৭২ লক্ষ ১ হাজার ৭০। দেশে মৃত্যুর হার ১.৫০ শতাংশ। সুস্থতার হার বেড়ে ৯০.৬২ শতাংশ।