কলেজে ফাঁকা আসনে ফের ভর্তির সুযোগ! অনুমোদনের অপেক্ষায় বহু কলেজ

অনেক পরীক্ষার্থী বিভিন্ন কোর্সে আবেদন করার পর আর ভর্তির প্রক্রিয়ায় অংশ নেননি।

 

কলকাতা: অনেক পরীক্ষার্থী বিভিন্ন কোর্সে আবেদন করার পর আর ভর্তির প্রক্রিয়ায় অংশ নেননি। অনেকে আবার আবেদন করে ভর্তির জন্য আসেননি। তাই প্রথম সেমিস্টারের পর যথেষ্ট সংখ্যক শূন্য আসন রয়ে গিয়েছে একাধিক কোর্সে। সেই কারণে আবারো একবার ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে শহর কলকাতার বিভিন্ন কলেজ গুলি। সেই কারণেই রাজ্য সরকার এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষা করছে তারা। খবর এমনটাই।

জানা গিয়েছে, একাধিক কলেজের বিভিন্ন কোর্স থেকে পড়ুয়ারা নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আবেদন করার পরেও সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ সম্পন্ন হয়নি। মনে করা হচ্ছে, মহামারীর কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন পড়ুয়ারা, আর ঠিক এই কারণেই অনেক আসন খালি হয়ে গেছে বিভিন্ন কোর্সে। বিভিন্ন কলেজ সূত্রে জানা গেছে, একাধিক জেলা থেকে অনেক পড়ুয়া প্রথমে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, পরবর্তী সময়ে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন। এখন করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য তারা কলকাতায় পড়াশোনা করতে খুব একটা ভরসা পাচ্ছেন না। সেই কারণেই আসন খালি রয়ে গেছে। আর তাই ফের একবার ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে কলেজগুলি। এই কারণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই সরকারের অনুমোদন আবশ্যক।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নির্দিষ্ট কিছু কারণে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গিয়েছিল, মার্কশিটের গরমিল, ভুল নথি ইত্যাদি কারণে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য পড়ুয়ারা অনলাইন ফর বহু ক্ষেত্রে ফিলাপ করতে পারেনি, অন্যদিকে একাধিক নথি আপলোড করে দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণে প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার ডেডলাইন পিছিয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে এই রকম গোলযোগের পর এখন শহরের একাধিক কলেজে পুনরায় ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়টা ভেবে দেখছে কর্তৃপক্ষ। যদিও, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মাঝে এখন স্কুল বা কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করছে রাজ্য সরকার। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − seven =