কলকাতা: সুজাপুরের প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিস্ফোরণ ঠিক কিভাবে হল তা নিয়ে এখনো ধন্দ রয়েছে। তবে বিজেপির তরফ থেকে প্রথমেই বলা হয়েছে, এটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। তৃণমূল সরকার আসার পর জেলায় জেলায় এইরকম কারখানা সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে আজ কলকাতার বিজেপি ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে ফের সুজাপুরের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ বলেন, সুজাপুরের ওই কারখানাতে অবশ্য ভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে। ভয়ঙ্কর এই বিস্ফোরণের ইতিমধ্যে একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে, বহু লোক আহত। তবে এই ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই খাগড়াঘড় থেকে ধুলাগড়, জেলায় জেলায় এইরকম কারখানা সৃষ্টি হয়েছে। এখন জেলায় জেলায় বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে। এক্ষেত্রে নৈহাটির ভয়াবহ বিস্ফোরণের কথাও উল্লেখ করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, রাজ্যের সাধারণ মানুষকে ভীত এবং সন্ত্রস্ত করে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এই প্রেক্ষিতে তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার এবং সিআইডি এই ঘটনার ব্যাপারে সত্য কখনোই প্রকাশ করবে না। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত ছাড়া এই ঘটনার সত্য উদঘাটন করা সম্ভব নয়। এমনই দাবি দিলীপ ঘোষের।
তিনি আরো বলেন, আর কয়েক মাস পরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এর আগেও বাংলায় নির্বাচনের প্রাক্কালে এই রকম ঘটনা ঘটেছে, এখনও ঘটছে। তাই সত্য সামনে আসা খুবই জরুরী। যদিও দিলীপ ঘোষের এই দাবির পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের দাবি জানিয়ে তাদের গরিমা নষ্ট করছে বিজেপি। সুজাপুরের ঘটনা শুধুমাত্র একটা দুর্ঘটনা। এই প্রেক্ষিতে মালদহের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহের সুজাপুরের ওই প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণে রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে এবং জখমদের ৫০ হাজার টাকা করে এককালীন অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।