কমছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সিলেবাস, বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

কমছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সিলেবাস, বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

কলকাতা: আশঙ্কা আগেই ছিল৷ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের  পড়ুয়াদের মধ্যে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা কাটাতে এবার বড়সড় ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ স্কুল ও বিশ্ববিদ্যলায় কবে খুলবে, তা নিয়েও দিয়েছেন ইঙ্গিত৷

আজ সাংবাদিক বৈঠক করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে কমছে সিলেবাস কমানোর ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ করোনার কারণে পাঠ্যসূচি পরিবর্তনের ঘোষণা করা হয়েছে৷ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের স্বার্থে সিলেবাস কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পাঠ্যসূচি কমানোর সিদ্ধান্ত নেোয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ ছাত্রদের স্বার্থে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সিলেবাস কমানোর ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বিষয়ভিত্তিক পাঠ্যসূচি কতটা কমছে, তা পরবর্তী সময় জানিয়ে দেওয়া হবে বলে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷

স্কুল কবে খুলবে? সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলেও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ স্কুল খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে৷ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল৷ ফলে, স্কুলগুলি রক্ষণাবেক্ষণ ও জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷

সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘করোনার কারণে বিদ্যালয় বহুদিন ধরে বন্ধ আছে৷ ফলে, জীবাণুমুক্ত করার প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে৷ স্কুল খোলার বিষয়ে প্রধান সচিব নেতৃত্বে রাজ্য শিক্ষা দফতর আলোচনা করছে৷ স্কুল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে৷ স্কুল খোলার বিষয়ে ইতিমধ্যেই আমার প্রাথমিকভাবে আলোচনা শুরু করেছি৷’’ সিলেবাস কমানোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘কতটা সিলেবাস কমবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ শিক্ষা সংসদ বিষয়ভিত্তিক বিজ্ঞপ্তি জানিয়ে দেবে৷’’ তবে, কবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷

কলেজ ও স্কুল খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কলেজ খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব৷ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব৷ তারপর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানিয়ে দেওয়া হবে৷’’ স্কুল চালুর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘স্কুল খোলার আগে করো না পরিস্থিতি মেনে যা করা, তা আমরা করব৷ আগে জীবাণুমুক্ত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে৷ তারপর পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷’’

এর আগে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সিলেবাস কমিয়েছে কেন্দ্রীয় বোর্ড৷ এবার কেন্দ্রীয় বোর্ডের দেখানো পথে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সিলেবাসের কাটছাঁট করার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ পরীক্ষার দিনক্ষণ অপরিবর্তিত রাখা হবে কি না, বা পিছিয়ে যাবে কি না, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি৷ সূত্রের খবর, করোনা ও ভোটের কারণে পিছিয়ে যেতে পারে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা৷ মার্চের বদলে এবার জুন মাসে পরীক্ষা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ কেননা, কলেজে স্নাতকস্তরের শিক্ষাবর্ষ এবার কমিয়ে আনা হয়েছে৷ নভেম্বর থেকে পরের বছর আগস্ট পর্যন্ত নতুন শিক্ষাবর্ষ ঘোষণা করেছে ইউজিসি৷ ফলে, ওই বাড়তি কিছুটা সময় উচ্চমাধ্যমের জন্য বরাদ্দ হলে পড়ুয়ারা লাভবান হবেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ ফলে, উচ্চমাধ্যমিক পিছিয়ে গেলেও কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না পড়ুয়াদের৷ তব দিক খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × five =