সরকারি সাফল্যের প্রচারে গিয়ে স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে পড়লেন তৃণমূলের শিক্ষকরা

সরকারি সাফল্যের প্রচারে গিয়ে স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে পড়লেন তৃণমূলের শিক্ষকরা

 

শান্তিনিকেতন: চলুন মাস্টারমশাই, ঘুরি বাড়ি বাড়ি৷ একুশের নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি ঘিরে রাজ্য সরকারের প্রকল্পের প্রচার করছেন শিক্ষকেরা৷ রাজ্য জুড়ে তাঁদের সংগঠনের ৬০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এই কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ৬৪টি প্রকল্পের কী কী সুবিধা সাধারণ মানুষ পেতে পারেন, জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু সরকারি প্রকল্পের সাফল্য প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিকে। জেলা প্রথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি প্রলয় মাইতির নেতৃত্বে শান্তিনিকেতনে ‘চল মাস্টার ঘুরে আসি বাড়ি বাড়ি’ অভিযানে প্রচারে যান তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা৷ সেখানে গিয়েই রীতিমত গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাদের৷

শিক্ষকেরা গ্রামবাসীদের কাছে সরকারি প্রকল্পের সাফল্য দাবি করায় গ্রামবাসীরা তাদেরকে নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা বলেন। বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার সময় কখনও সেগুলোর নাম পর্যন্ত না শোনার কথা জানান গ্রামবাসীরা। যে প্রকল্পের সুবিধা পাইনি, তার খোঁজখবর কেন নিতে এসেছেন আপনারা। এমন প্রশ্নই করতে থাকেন গ্রামবাসীরা৷ যার জেরে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যান শিক্ষকেরা৷ চরম লজ্জায় ও চরম অস্বস্তিতে পরে যান প্রথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি প্রলয় মাইতি। সুবিধা পাওয়া তো অনেক দূরের কথা মমতার অনেক প্রকল্পের নামই শোনেন নি বীরভূমের গ্রামবাসীরা। শিক্ষক নেতা জানিয়েছেন, গ্রামে অনেকেই আছেন যারা রাজ্য সরকারের অনেক প্রকল্পের নামও শোনেননি৷ সেই প্রকল্পের জন্য অনেক সময় অনেক অসাধু ব্যক্তি টাকা পয়সার লেনদেন করছেন৷ কিন্তু আমরা চাই এমনটা যাতে না হয়৷ গ্রামবাসীদেরকে রাজ্য সরকারের প্রকল্পের কথা বোঝাতে গিয়ে তাদের কাছ থেকে আমরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি৷ 

এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি৷ বিজেপির দাবি, শিক্ষকদের রাস্তায় নামিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, সরকারি প্রকল্প নিয়ে জানাতে সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা গিয়েছিলেন। কিন্তু মমতার অনেক প্রকল্পের নামই শোনেন নি গ্রামবাসীরা৷ এটা জেনে চরম লজ্জায় পরে যান শিক্ষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × one =