কলকাতা : খারিফের পর এবার রবি। বাংলার কৃষকদের জন্য ফিরছে শস্যবিমা প্রকল্প। আসন্ন রবি মরশুমে ফের কৃষকদের জন্য শস্যবিমা প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলার কৃষি দফতর। এবার রাজ্যের প্রায় ৫০ লক্ষ কৃষককে এই বিমার আওয়াতায় নিয়ে আসার কথা ভাবছে সরকার। গত খারিফ মরশুমে কৃষকদের মধ্যে এই শস্যবিমা বেশ পরিচিতি লাভ করেছিল। প্রায় ৬৭ লক্ষ কৃষক বিমার আওতায় ছিলেন সেইবার। তাই এই রবি মরশুমেও একই ট্রেন্ড বজায় রাখতে চায় কৃষি দফতর।
খারিফ শস্যের তুলনায় রবি শস্য চাষের জমির পরিমাণ কম। খারিফ যেখানে গড়ে ৪০ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষ হয়, সেখানে রবি চাষের জমির পরিমাণ গড়ে ৩০ লক্ষ হেক্টর। গত মরশুমে প্রায় ২৩ লক্ষ হেক্টর জমি রবি শস্যবিমার আওতায় ছিল। এবার কৃষি বিভাগ চেষ্টা করছে যেন গোটা রবি চাষের জমিকেই বিমার আওতায় এনে ফেলা যায়। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার শস্যবিমা প্রকল্প নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গতবারের মতো বোরো ধান, গম, আলু, ছোলা, ভুট্টা, মুগ, মুসুর, আখ, বাদাম, তিল ও সরষে; এই ১১টি ফসল বিমার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর মধ্যে আলু ও আখের জন্য কৃষককে মাত্র ৫ শতাংশ প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। বাকি ৯৫ শতাংশ দেবে রাজ্য সরকার। অন্যান্য ৯টি ফসলের জন্য কৃষককে এক টাকাও প্রিমিয়াম দিতে হবে না। পুরোটাই দেবে সরকার।
রবি শস্যের বিমায় কোনোরকম সরাসরি আওতাভুক্ত করার ব্যবস্থা থাকবে না। প্রত্যেক কৃষককেই পঞ্চায়েত অফিসে আবেদন করতে হবে। রাজ্য সরকারের নয়া প্রকল্প ‘দুয়ারে সরকার’এর মাধ্যমেও আবেদন করা যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই আবেদন জমা করতে হবে। সর্বাধিক সংখ্যক কৃষককে বিমার আওতায় নিয়ে আসার জন্য বাড়ানো হতে পারে আবেদন জমা করার সময়সীমাও।