ধর্মঘটে শুনসান হাইকোর্ট! আইনজীবীদের সন্ধানে ফোন প্রধান বিচারপতির!

ধর্মঘটে শুনসান হাইকোর্ট! আইনজীবীদের সন্ধানে ফোন প্রধান বিচারপতির!

 

কলকাতা:  কৃষি আইন বাতিলের প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি৷ আজ সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ধর্মঘটিরা পথে নামেন৷ আর তার প্রভাব এবার সরাসরি পড়ল রাজ্যের শীর্ষ আদালতেও৷ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণাণ-সহ প্রায় অধিকাংশ বিচারপতি এজলাসে উপস্থিত হয়ে যান৷ হাইকোর্টের ডিজিটাল বোর্ডে মামলার ডাক শুরু হলেও অধিকাংশ কোর্টগুলিতেই আইনজীবীদের উপস্থিতির সংখ্যা ছিল একেবারেই নগণ্য৷ প্রতিদিন কলকাতা হাইকোর্টে যে পরিমাণ আইনজীবীরা আসেন, তার সিংহভাগ আইনজীবী এদিন অনুপস্থিত৷ যদিও হাইকোর্টের ৩৮টি এজলাসে মধ্যে ১৯টি এজলাসেই বিচারপতিরা উপস্থিত থাকলেও আইনজীবীদের অনুপস্থিত থাকার কারণে মামলার শুনানি করা সম্ভব হয়নি৷

বছরের পর বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে সমস্ত নিখোঁজ মামলাগুলি কলকাতা হাইকোর্টে চলছে, সেই মামলাগুলি প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে, সেই সময় সরকার পক্ষের কোনও আইনজীবী প্রধান বিচারপতির এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না৷ সরকারি আইনজীবী ছাড়া মামলা শুনানি করা সম্ভব যেমন হচ্ছিল না, পাশাপাশি সরকারি আইনজীবী অনুপস্থিত থাকার কারণে কোনও মামলায় প্রধান বিচারপতি রায় দিতে পারেননি৷ না। প্রধান বিচারপতির এজলাস থেকে সকাল ১১টা ৫৫ থেকে ১২টা ১০ পর্যন্ত সরকারি আইনজীবীদের মবাইলে ধরার চেষ্টা  করা হয়৷ কিন্তু কোনও সরকারি আইনজীবীকে না পেয়ে অবশেষে  রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে ফোন করা হয়৷

প্রধান বিচারপতি এদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বহু মামলা বিচারাধীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে৷ পুলিশ যথাযথ তদন্ত করছেন না, সঠিকভাবে আদালতে রিপোর্ট জমা পড়ছে না৷ মামলার শুনানির সময় সরকার পক্ষের কোনও আইনজীবীকে পাওয়া যায় না, এ বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখার কথা বলেন প্রধান বিচারপতি৷ কোটের মধ্যে বেশিরভাগ বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু মামলাকারীকে পক্ষের আইনজীবীদের খুব একটা নজর পড়ল না হাইকোর্টের বারান্দায়৷ 

করোনার অতিমারির কারণে মার্চ মাস থেকে টানা লকডাউনের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে হাইকোর্ট৷ করোনা-পর্বেও বেশ কিছু মামলা ভার্চুয়াল শুনানি হয়েছে৷ ফলে, সেইভাবে হাইকোর্টে খুব একটা আইনজীবীদের উপস্থিতি ছিলেন না৷ সোমবার ৭ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট সম্পূর্ণভাবে কাজকর্ম শুরু করার দ্বিতীয় দিন ফের বিঘ্ন ঘটল৷ কৃষক আইন বাতিলের প্রতিবাদে সারা দেশব্যাপী ধর্মঘটের প্রভাব এবার সরাসরি পড়ল রাজ্যের শীর্ষ আদালতের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 12 =