‘চাল চোর’ তৃণমূলকে আক্রমণ! নাড্ডাকে ‘নির্লজ্জ’ বলে কটাক্ষ মমতার

জে পি নাড্ডাকে 'নির্লজ্জ' বলে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বাংলা সফরে আসেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা৷ বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাস তালুক ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছন তিনি৷ প্রচার মঞ্চ থেকে তৃণমূল সরকারকে 'চাল চোর' বলে সরাসরি কটাক্ষ করেন তিনি৷ তার উত্তরেই বিজেপিকে একহাত নিলেন মমতা।

কলকাতা: জে পি নাড্ডাকে ‘নির্লজ্জ’ বলে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  বাংলা সফরে আসেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা৷ বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাস তালুক ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছন তিনি৷ প্রচার মঞ্চ থেকে তৃণমূল সরকারকে ‘চাল চোর’ বলে সরাসরি কটাক্ষ করেন তিনি৷ তার উত্তরেই বিজেপিকে একহাত নিলেন মমতা।

নাড্ডা বলেছিলেন, তৃণমূলের কর্মকর্তারাই চাল চোর৷ রাজ্যে চরম দুর্নীতি চলছে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৮০ কোটি দেশবাসীকে মাথা পিছু ৫ কেজি চাল, ৫ কেজি গম আর ১ কিলো ডাল পাঠিয়েছিলেন৷ সেখানে তৃণমূলের নেতারা চাল চুরি করছেন৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ৭৫ শতাংশ কাটমানি দলকে আর বাকি ২৫ শতাংশ বিতরণ করে দিও৷ আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করে রাজ্যে পদ্ম ফোটাতে হবে৷ ভারতীয় জনতা পার্টিকে ক্ষমতায় আনাই হবে আমাদের লক্ষ্য৷ 

তার উত্তরে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এত নির্লজ্জ, এত মিথ্যা কথা বলে এরা, কল্পনা করতে পারবেন না। কালকে পাবলিসিটি পায়নি। বেচারা। কি করবে? লোক ছিল না। জনগণ থাকলে তবে তো জনসংযোগ করবে। কিছু গুন্ডাকে নিয়ে সংযোগ করতে গিয়েছে। আজকে আমি শুনেছি, বলেছে কেন্দ্র চাল দেয়, সব টিএমসি খায়। জিজ্ঞেস করুন, রাজ্য থেকে টাকা কে নেয়? রাজ্য থেকে টাকা নিয়ে পালায়। আমাদের টাকা দেয় না। তৃণমূল কংগ্রেস চাল খায়! ইনকাম ট্যাক্সের টাকা কে নেয়? কাস্টমসের টাকা কে নেয়? জিএসটি কে নেয়? ট্যাক্স নেয়? ১০০% ট্যাক্স নেয়, রাজ্যকে দেয় মাত্র ৪০ শতাংশ। তাতেও টাকা দেয় না। আপনারা বাংলাকে কিছু দেন নি। আপনারা বলে গিয়েছিলেন এক হাজার কোটি টাকা দিলাম। মাছের তেলে মাছ ভাজা। আমাদেরই টাকা এডভান্স করেছে। মানে রাজ্যের খাতের টাকা। সারাক্ষণ মিথ্যে কথা বলে চলেছে।”

এরপর কেন্দ্র বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “উত্তর প্রদেশ থেকে ৭১ লক্ষ টন ধান কিনেছে। তেলেঙ্গানা থেকে ১১১ লক্ষ টন, অন্ধ্র প্রদেশ থেকে ৮২ লক্ষ টন ধান কিনেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ধান থাকা সত্বেও মাত্র ৭১ হাজার টন কিনেছে। তার মানে বাংলাকে বঞ্চনা। বাংলার কৃষকরা যাতে পরে কম পয়সায় ধান বেচতে বাধ্য হয়। আমরা রয়েছি কৃষকদের পাশে। আমরা ৪৩ লক্ষ টন ধান কৃষকদের থেকে কিনেছি। ধান নিন চেক দিন। খাদ্যসাথী প্রকল্পে চাষির কাছ থেকে ধান কিনে এনে দিতে গেলে খরচ হতে ৩১ টাকা। আর দিতাম ২ টাকায়। এখন তো খাদ্যসাথী বিনামূল্যে হয়ে গিয়েছে। জুন মাস পর্যন্ত বিনা পয়সায় পাবেন রেশন। আগামীদিনেও জুন মাসের পর থেকে সম্পূর্ণ ফ্রি। আমি দেখি বিজেপি কী করতে পারে, কত বড় ক্ষমতা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =