নিজস্ব প্রতিনিধি, বালুরঘাট: বিতর্কিত মন্তব্য এবং বিজেপি নেতা, এই দুটি জিনিস একেবারে সমার্থক হয়ে গেছে। কোনো জনসভায় বিজেপি নেতারা বক্তব্য রাখবেন এবং বিতর্কিত মন্তব্য করবেন না তা যেন অস্বাভাবিক ব্যাপার। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের মধ্যে এই প্রসঙ্গে সবচেয়ে আগে উঠে আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারপরেই থাকেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পর্যবেক্ষক সায়ন্তন বসু। এদিন তিনি ফের একবার বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করলেন বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
আজ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পতিরাম হাইস্কুল মাঠে জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বিশাল জনসভা আয়োজন করা হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পর্যবেক্ষক সায়ন্তন বসু।এই সভাতেই তিনি দাবি করলেন, বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকজন তৃণমূল দুষ্কৃতীর পরপর অ্যাক্সিডেন্টে মারা পড়বে! তাদের নামের লিস্ট নাকি ইতিমধ্যেই রয়েছে বিজেপির কাছে। এদিন ভরা জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সায়ন্তন বসু বলেন, উত্তরপ্রদেশে জেলফেরত আসামিরা জেল থেকে বেরোনোর পর অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায়। এই রাজ্যে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের অবস্থাও ঠিক তাই হবে। এক্ষেত্রে সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন, ইতিমধ্যেই লিস্ট বানিয়ে রেখেছে রাজ্য বিজেপি, ২০২১ সালে ক্ষমতায় এলেই সেই লিস্ট জনতাকে জানানো হবে। লিস্টে নাকি বীরভূমের একজন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২-৪ জন তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে। তারা নাকি সবাই অ্যাক্সিডেন্টে মারা যাবে!
একইসঙ্গে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন, কাউকে রিয়াত করবে না বিজেপি, কাউকে ছাড়া হবে না, কাউকে ক্ষমাও করা হবে না। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এই মন্তব্যের পর রীতিমতো বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই দাবি করতে শুরু করেছে, এইভাবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে রীতিমতো খুনের হুমকি দিচ্ছেন সায়ন্তন, এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।