পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান তৃণমূলই করবে! বিজেপিকে ‘বোঝার’ জন্য গুরুংদের প্রশংসা মমতার

'রাষ্ট্রদ্রোহী' বিমল গুরুংয়ের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জলপাইগুড়ি: ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই উত্তরবঙ্গকে ফিরে পেতে এখন জোরদার কাজ শুরু করেছে শাসকদল তৃণমূল। এদিন জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিংবাসী তথা উত্তরবঙ্গ বাসীকে বিজেপির বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বললেন, পাহাড়ের রাজনৈতিক সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান তৃণমূল কংগ্রেস করতে পারে, বিজেপি নয়। এই প্রেক্ষিতে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বিমল গুরুংয়ের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কারণ তারা বিজেপিকে অবশেষে ‘বুঝতে’ পেরেছে।

এদিন জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, বিগত ছয় বছর ধরে বিমল গুরুংদের বিজেপি আশ্বাস দিয়ে এসেছে গোর্খাল্যান্ড দিয়ে দেবে। যখনই নির্বাচন আসে তখনই গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে তারা। এখনো পর্যন্ত কটা গোর্খাল্যান্ড হয়েছে তা সবাই জানেন। এই প্রসঙ্গে বিমল গুরুংয়ের ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা বলেন, তারা যে বিজেপির আসল রূপ বুঝতে পেরেছে, তারা যে বিজেপির নাটক বুঝতে পেরেছে, কুৎসা রটানো হচ্ছে সেটা বুঝতে পেরেছে, তার জন্য তাদের ধন্যবাদ। একইসঙ্গে পাহাড়ের সকল ভাই-বোনেদের ধন্যবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, গোর্খাল্যান্ডের অন্যরকম দাবি তিনি করেননি, তাই তিনি জেতেননি। কারণে ব্যাপারে তাঁর কিছু এসে যায় না। কিন্তু বিজেপির নাটক যে পাহাড়বাসী বুঝতে পেরেছি তার জন্য প্রত্যেক দার্জিলিং বাসীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি দাবি করে বলেন, দার্জিলিংয়ের রাজনৈতিক চূড়ান্ত সমাধান একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস করতে পারে, বিজেপি পারবে না কারণ সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

তিনি আরো বলেন, বিজেপি শুধু কুৎসা রটায় যে এ চোর, ও চোর।তাঁরা শুধু নতুন ধর্মের প্রবর্তন ঘটিয়েছে সব জায়গায়। সেই ধর্ম হল দাঙ্গা ধর্ম, কুৎসা ধর্ম। মানুষের সঙ্গে মানুষের বিবাদ সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বিজেপি। সবার সঙ্গে সবার ঝামেলা লাগিয়ে দিচ্ছে, সকলের সঙ্গে সকলের দূরত্ব করিয়ে দিচ্ছে। তাঁর কথায়, বিজেপি বাংলার মেরুদন্ড ভাঙতে চায়, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস থাকতে তা কোনদিন হবে না। এই কারণেই প্রত্যেকের উচিত তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − two =