কলকাতা: প্রায় আড়াই দশকের সম্পর্কে ইতি টানলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বিধানসভায় পৌঁছে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। যদিও তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে যদি এই ইস্তফাপত্র তিনি গ্রহণ করেন তাহলে তৃণমূলের সঙ্গে এত বছর পুরনো সম্পর্ক ছেদ পড়ে যাবে শুভেন্দু অধিকারীর, আপাতত যার সম্ভাবনা প্রবল।
এদিন বিকেল চারটে নাগাদ বিধানসভা ভবনে পৌঁছে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইস্তফা দিতে চান শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই সময় সেখানে ছিলেন না তিনি। অতঃপর স্পিকারের সচিবের কাছে সেই পদত্যাগপত্র পেশ করেন তিনি। যদিও উদ্যোগ না থাকায় তাঁর পদত্যাগপত্র এখনো পর্যন্ত গৃহীত হয়নি। প্রসঙ্গত বিগত কয়েক মাস ধরে শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে বিপুল পরিমাণ চর্চা হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। একাধিক জায়গায় জনসভা করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তিনি। এরপর জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ২৫ নভেম্বর হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। তারপর রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি, ঠিক তার ১৯ দিনের মাথায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য বিধানসভা ভবনে পৌঁছলেন শুভেন্দু অধিকারী।
সূত্রের খবর আগামী শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভার মধ্যে দিয়েই বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি যে বিজেপিতে যোগদান দেবেন সে নিয়ে চর্চা প্রথম থেকেই ছিল, তবে শুধু জনসমক্ষে ঘোষণা বাকি ছিল। এখন তিনি যে বিজেপিতে যোগদান করছেন তা মোটামুটি পরিষ্কার। বিগত কিছুদিনে নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ঘাসফুলের একাধিক নেতাকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। ইঙ্গিত দিয়েছেন, যারা বড় বড় কথা বলছেন তারা ভোটের বাক্সের মাধ্যমে জবাব পেয়ে যাবেন। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও পরোক্ষে আক্রমণ করা হয়েছে তাঁকে। যা করেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে এটা বোঝা শক্ত নয় যে, রাজনৈতিক ময়দানে খুব শীঘ্রই সম্মুখসমরে আসতে চলেছেন মমতা এবং শুভেন্দু। সেই প্রেক্ষিতে ২০২১ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আবহাওয়া কি হতে চলেছে তার আন্দাজ কিছুটা হলেও করা সম্ভব।