লন্ডন: করোনা সংক্রমণে নাস্তানাবুদ গোটা বিশ্ব৷ প্রতিটি দেশের বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে চলেছেন কী ভাবে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করা যায়৷ এই পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা৷ যা সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৫০ শতাংশ৷
গত এপ্রিল মাসে প্রথম মানব শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে করোনা প্রতিষেধক প্রয়োগ করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ৫১০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর প্রয়োগ করে দেখা হয় ChAdOx1 nCoV-19- নামক এই প্রতিষেধকের কার্যকারিতা। প্রতিষেধক প্রয়োগের পরবর্তী ১৫ দিন তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়৷অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, এই টিকা আশা জাগিয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত এর কোনও রকম ক্ষতিকর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি৷
অক্সফোর্ডের জেনার ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অ্যাড্রিয়ান হিল বলেন, পরবর্তী ধাপে পরীক্ষামূলকভাবে ১০ হাজার মানুষের উপর কোভিড-১৯ এর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে৷ তিনি আরও বলেন, এটি একইসঙ্গে করোনাভাইরাস এবং সময়ের সঙ্গে লড়াই৷ আমরা সফলতা নিয়ে ৫০ শতাংশ নিশ্চিত৷
এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে করোনা প্রতিষেধক ChAdOx1 nCoV-19-এর প্রয়োগ করা হয়েছিল ৫৫ বছরের কম বয়সীদের উপর৷ কিন্তু এ বার ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের উপরও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে এই প্রতিষেধক৷ এর পাশাপাশি ২ থেকে ৫ বছরের শিশুর শরীরেও পরীক্ষা করে দেখা হবে এটি৷ মানুষের শরীরে প্রয়োগের পাশাপাশি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রতিষেধকটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল বাঁদরের উপরেও৷
এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা, সেটা দেখাই ছিল মূল উদ্দেশ্য৷ কিন্তু পরীক্ষায় ভালো ফল মেলে৷ বিজ্ঞানীরা জানান, ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে এই ChAdOx1 nCoV-19। এবার মানুষের উপরে এই প্রতিষেধকটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেত চলেছেন বিজ্ঞানীরা।
এই পরীক্ষা সফল হলেই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি এই করোনা প্রতিষেধক৷ আপাতত এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে বিশ্ববাসী৷