তমলুক: বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রথম অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে ফের বহু দলীয় রাজনীতির বাইরে বৃহৎ জগতের পক্ষে সওয়াল করলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তমলুকে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন মঞ্চে থেকে নাম না করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেন শুভেন্দু? ফের শুরু রাজনৈতিক চর্চা৷
বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তমকুলে তাম্রলিপ্ত সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন শুভেন্দু অধিকারী৷ অরাজনৈতিক সভা হলেও শুভেন্দুর মুখে ছিল বহু দলীয় রাজনীতির বার্তা৷ তাম্রলিপ্ত সরকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়ে বেশ কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তিনি৷
সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘যারা মাতঙ্গিনী হাজরার আত্মবলিদান, ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান, তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবসের গুরুত্ব জানে না, এগুলিতে যারা অংশগ্রহণ করে না, এর ইতিহাস জানে না, তারা কেবলমাত্র ভোট চাই ভোট দাও, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও বলে৷ বহু দলীয় গণতন্ত্রণে এটার সীমাবদ্ধ থাকে৷ পরিসর বাড়াতে হবে৷ হ্যাঁ বহুদলীয় গণতন্ত্র আছে, সেটা একটি ক্ষুদ্র৷ গন্ডির মধ্যে আমরা সবাই আবদ্ধ৷ কিন্তু সেই গন্ডির বাইরে বৃহত্তর জগত আছে৷’’
এদিন সভামঞ্চ থেকে সরাসরি শহিদের আত্মদানের প্রসঙ্গত তোলেন তিনি৷ জানান, মাতঙ্গিনী হাজরা, ক্ষুদিরাম বসুরা না থাকতেন, তাঁরা যদি আজ স্বাধীনতা এনে দিতে পারতেন, তাহলে আজ আমরা এই জায়গায় আসতে পারতাম না বলেও মন্তব্য করেছেন শুভেন্দুর৷ তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের গুরুত্ব এই প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা আমাদের দায় বদ্ধতা মধ্যে পড়ে বলেও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী৷