‘বিজেপিতে যেতে চাই না, সমর্থনও করি না’, ইস্তফা দিয়ে দাবি জিতেন্দ্রর

জিতেন্দ্র তিওয়ারি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, তিনি বিজেপিকে যেতে চান না

891194330fa0a9599639c42f15aceb1f

 

আসানসোল: গতকাল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন আসানসোলের পুরো প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। গতকাল ইস্তফা দেওয়ার পর পূর্ব বর্ধমানের বিক্ষোভ তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বৈঠকে বসেন শুভেন্দু এবং জিতেন্দ্র সহ একাধিক জেলার বিধায়ক এবং তৃণমূল নেতারা। তাই প্রবল জল্পনার সৃষ্টি হয় যে শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি হয়তো জিতেন্দ্র তিওয়ারিও বিজেপিতে যোগ দেবেন। তবে এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে জিতেন্দ্র তিওয়ারি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, তিনি বিজেপিকে যেতে চান না, এমনকি বিজেপিকে সমর্থন করেন না।

শুভেন্দু অধিকারী এবং ইস্তফা দুই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কার্যত ফিরহাদ হাকিমকেই কটাক্ষ করেন তিনি। জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্পষ্ট বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীকে আর বিড়াম্বনায় না ফেলার জন্যই এই ইস্তফা। যে বিষয়ে সমস্যা হয়েছে সেই বিষয়ে দেখার জন্য একজন মন্ত্রী ইতিমধ্যেই রয়েছেন। কিন্তু চিঠি দেওয়ার পরেও সে বিষয় নিয়ে কোনোরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে। তাই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি এমনটাই জানান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করার পরেও শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। তাহলে তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন কিনা এই প্রশ্ন করায় জিতেন্দ্র উত্তর দেন, তিনি বিজেপিকে সমর্থন করেন‌ না, বিজেপিতে যেতেও চান না। তবে তিনি চান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই দলের বড় নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হোক শুভেন্দু অধিকারীকে এবং তাঁকে দলে রাখার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক দলের পক্ষ থেকে। জিতেন্দ্রর মতে, এ রাজ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরেই সবচেয়ে বড় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই তাঁকে দলে রাখতে গেলে যদি তৃণমূলকে কিছু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয় তাহলে তাই করা উচিত।

আসানসোলের যে ইস্যু নিয়ে এত বিতর্ক সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মূলত ফিরহাদ হাকিমকে কাঠগড়ায় তুলেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ফিরহাদ হাকিম যদি মুখ্যমন্ত্রীকে ভালোবাসতেন তাহলে আজ এই পরিস্থিতি হত না। তিনি নিজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিড়ম্বনায় ফেলছেন। তবে ইস্তফা দেওয়ার পর আসানসোল ইস্যু নিয়ে আর কোনো বক্তব্য নেই তার এমনটা সাফ জানিয়ে দেন জিতেন্দ্র। তবে এরপর তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আর বৈঠক করবেন কিনা সে ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি তিনি। অন্যদিকে বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে কোন ইঙ্গিত না দিলেও এটা দাবি করেছেন যে তিনি বিজেপিকে সমর্থন করেন না। তবে এখন বাংলার রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে রয়েছে শনিবারের দিকে। কারণ সেদিন শুভেন্দু অধিকারীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদানের কথা। সূত্রের খবর শুভেন্দু একা নন, সেদিন আরো অনেক বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তাদের মধ্যে জিতেন্দ্র তিওয়ারি থাকবেন কিনা তা সময় বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *