WHO-কে নিয়ন্ত্রণ করছে চিন, চোটে লাল ট্রাম্প! সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা

WHO-কে নিয়ন্ত্রণ করছে চিন, চোটে লাল ট্রাম্প! সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা

ওয়াশিংটন: ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ প্রকাশ্যে দিয়েছিলেন হুমকি৷ এবার করোনা আবহে সরাসরি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর থেকে আশীর্বাদের হাত সরিয়ে নিল আমেরিকা৷ সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ জানিয়েছেন, বিশ্ব সংস্থাকে দেওয়া অনুদান বন্ধ করে বরাদ্দ টাকা এবার বিশ্বের স্বাস্থ্য কল্যাণে খরচ করা হবে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণা ঘিরে ফের শিরোনামে উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷

বিশ্বজুড়ে করোনা রুখতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক দেশ৷ এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সমস্ত ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ তাঁর অভিযোগ, মাত্র ৪০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়ে ‘হু’-কে নিয়ন্ত্রণ করছে৷ সেখানে প্রতি বছর এই সংস্থাকে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য করছে আমেরিকা৷ কিন্তু, সেই অনুদান বন্ধ করে বিশ্বে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷

একটি বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ‘‘চিন ক্রমাগত তাঁদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে চলেছে৷ এটা উপেক্ষা করা যায় না৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চালিয়েছে চিন৷ যদিও বেজিং মাত্র ৪০ মিলিয়ন ডলার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুমোদন দেয়, আমেরিকা সেখানে প্রায় সাড়ে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়ে এসেছে৷ আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছি৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কে যে অর্থ আমরা প্রতিবছর সাহায্য দিতাম তা বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে খরচ করা হবে৷ করোনা নিয়ে বিশ্বের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে চিনকে৷ এর জন্য দায়ী থাকবে চিনা প্রশাসন৷’’

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিনের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে৷ ফলে আমেরিকা অদূর ভবিষ্যতে চাইলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুদান বন্ধ করে দিতে পারে৷ যদিও পরে নিজের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ কিন্তু ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতিতে যখন গোটা বিশ্ব কাঁপছে, ঠিক তখনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণা বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে৷ এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার এই নীতিগত অবস্থান কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *