কলকাতা: বেশ কয়েক দিন ধরেই বেসুরো রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি৷ ফলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা৷ সেই জল্পনা আরও উস্কে এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ চার মন্ত্রী৷
আরও পড়ুন- মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের পরিবারের প্রত্যেককে চাকরি, ঘোষণা মমতার
রাজীব ছাড়াও এদিন অনুপস্থিত ছিলেন গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, চন্দ্রনাথ সিনহা৷ তাঁদের এই অনুপস্থিতিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা৷ গত শনিবারই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ শুভেন্দুর পথেই কি এগোবেন রাজ্যের হেভিওয়েট এই মন্ত্রী? ভাঙন রুখতে রাজীবের মানভঞ্জনের দায়িত্ব সঁপা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যাকে৷ ১৩ ডিসেম্বর প্রথম বৈঠক করেন তাঁরা৷ এর পর সোমবার নাকতলায় নিজ বাসভবনে ফের রাজীবের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের মহাসচিব৷ প্রায় দেড় ঘণ্টা কথা হয় তাঁদের মধ্যে৷ তবে তাঁদের মধ্যে কী বিষয়ে কথা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই৷
আরও পড়ুুন- ‘বিজেপি আশ্রয় না দিলে উঠে যেত তৃণমূল, এবার ওদের কিডনি পাচারও বন্ধ হবে’
অনকেই বলছেন, শাসক দলের যে সকল নেতারা অত্যন্ত পরিশীলিত, ঔদ্ধত্য বা অহঙ্কারীন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উনি পরিশ্রমী৷ সম্প্রতি পর্যবেক্ষক হিসাবে কালিয়াচকে দলকে জিতিয়েছেনও তিনি৷ কিন্ত সেই রাজীবই অভিযোগ এনেছেন, ‘দলে কাজের সুযোগ নেই’৷ বলেছেন, যোগ্যতা হিসাবে কাজ পাচ্ছেন না তিনি৷ আবার কখনও দলে স্তাবকতায় অভিযোগ তুলেছেন৷ কখনও আবার ব্রাহ্মণদের আর্থিক প্যাকেজের দাবিতে সুর চড়িয়েছেন৷
এর আগে শুভেন্দুর মানভঞ্জনের চেষ্টাও করেছিল তৃণমূল৷ সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সৌগত রায়ের কাঁধে৷ কিন্তু কোনও লাভ হয়নি৷ বরং রং বদলে তনি এখন গেরুয়া৷ আগামী দিনে রাজীবও কি এমন কোনও চমক দিতে পারেন? এই প্রশ্নই ঘোরা ফেরা করছে রাজ্য রাজনীতির অঙ্গনে৷