ডোমজুড়: কোন পথে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর এখন এটাই হয়তো বড় প্রশ্ন শাসক দলের অন্দরে। কারণ পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে খুব একটা স্বস্তি পাচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এদিন নিজের বিধানসভা এলাকাতেই দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন না তিনি। ডোমজুড়ে বঙ্গধ্বনী যাত্রা হয় এদিন, সেই মিছিলে গরহাজির ছিলেন রাজ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। এ নিয়েই এখন বাড়ছে জল্পনা।
বেশ কিছু সময় ধরেই দলীয় বৈঠক এবং কর্মসূচি থেকে নিজেকে দূরে রাখছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুবার বৈঠক করার পরেও এদিন ডোমজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচিতে দেখা গেল না তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই এখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি তিনি দ্বিতীয় শুভেন্দু অধিকারী হতে চলেছেন, এ নিয়ে চর্চা হচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার আগে ও দীর্ঘ সময়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেননি রাজীব। তবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে বৈঠকের পর আজ ডোমজুড়ের মানুষ ভেবেছিল হয়তো এলাকার দলীয় কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যাবে। কিন্তু এদিনও অনুপস্থিত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজকের ডোমজুড়ের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচিতে আসেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, দলীয় নির্দেশে তিনি ডোমজুড়ে দলীয় কর্মসূচিতে এসেছেন। তবে এখানে কে এসেছেন আরকে আসেননি সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। অতএব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনিও যে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন তা বলাই বাহুল্য। তবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে বৈঠক হয়েছে তাতে যে কোন রফা সূত্র মেনে নিয়ে তা ক্রমশ প্রকাশ্য। এখন আগামী দিনে কি হতে চলেছে তা দেখতে গেলে কিছু মাস অপেক্ষা করতেই হবে।