‘হে বিধাতা’ থেকে ‘খোল, দ্বার খোল’! আত্মনির্ভরতায় রবি-যোগ, দাবি প্রধানমন্ত্রীর

‘হে বিধাতা’ থেকে ‘খোল, দ্বার খোল’! আত্মনির্ভরতায় রবি-যোগ, দাবি প্রধানমন্ত্রীর

4c3d127921a3d463baf21d375a175914

নয়াদিল্লি: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ফের বাঙালি আবেগ উস্কে দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ভার্চুয়াল সভা শুরু করলেন, ‘হে বিধাতা, দাও দাও মোদের গৌরব দাও’ দিয়ে৷ শেষ করলেন, ‘ওরে গৃহবাসী খোল, দ্বার খোল’ গানের লাইনের মাধ্যমে৷ প্রধানমন্ত্রীর ৩৫ মিনিটের ভাষণে ৫বার উঠে রবীঠাকুরের গান-কবিতা৷

আজ প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণ ছিল আগাগোড়া রবীন্দ্র নির্ভর৷ বিশ্বভারতীর ভূমিকায় প্রশংসা থেকে ‘গুরুদেব স্বপ্ন’ নিয়েও ভাষণে বেশ কিছুয়া সময় দেন প্রধানমন্ত্রী৷ রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গও তুলে ধরার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ তোলেন রাষ্ট্রবাদের ভাবনার কথাও৷ এই প্রসঙ্গে বলেন গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গুরুদেব ভারতীয় পরম্পরার সঙ্গে বিশ্বভারতী গড়ে তুলেছিলেন৷ বিশ্বভাতৃত্ব, রাষ্ট্রবাদের চিন্তায় মুখর ছিলেন গুরুদেব৷ বিশ্বভারতীকে গুরুদেব যে স্বরূপ দিয়েছেন, তা ভারতের জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে উদাহরণ৷’’

বাঙালি আবেগ উস্কে প্রধানমন্ত্রীর মুখে ছিল ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ গানের লাইন৷ বলেন, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তাহলে একলা চলো রে৷’ জানান, আত্মনির্ভর ভারতের কবিগুরুর অনুপ্রেরণা থেকে তৈরি৷ গুজরাটের সঙ্গে কপিগুরুর সম্পর্কের কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী৷ বলেন, গুজরাটে দু’টি কবিতা লিখেছিলেন কবিগুরু৷ ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গে কপিগুরুর যোগসূত্র খুঁজে বের করেন প্রধানমন্ত্রী৷

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘হে বিধাতা, দাও দাও মোদের গৌরব দাও’’৷ জানান, বিশ্বভারতীয় শতবর্ষে সারাদেশের মতো আমার গৌরব হচ্ছে৷ প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে এটা গর্বের৷ গুরুদেব যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়িত করার জায়গা বিশ্বভারতী৷ গ্রামীণ উন্নয়নে বিশ্বভারতীর ভূমিকা প্রশংসনীয় বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী৷ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুপ্রেরণায় আত্মনির্ভর ভারতের মূল ভিত্তি৷ কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প, সাহিত্যকে আত্মনির্ভর দেখতে চেয়েছিলেন কবিগুরু৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *