পুলিশ নপুংসক, সত্যিই মারলে ব্যান্ডেজ বাঁধার জায়গা থাকবে না! দিলীপ উবাচ

রাজ্যের একাধিক জেলায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার বিরুদ্ধে আরো একবার সরব হন দিলীপ

642a0eaf08438850ab2910a597f29c95

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করার ঝাঁজ বাড়াচ্ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভাঙ্গড়ের এক চা চক্রে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে মন্তব্য করলেন, সত্যি সত্যি যেদিন মারতে শুরু করা হবে সেদিন ব্যান্ডেজ বাঁধার জায়গা পাওয়া যাবে না! একইসঙ্গে রাজ্যের পুলিশকে নপুংসক বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এর পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জেলায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার বিরুদ্ধে আরো একবার সরব হন দিলীপ ঘোষ।

এদিন ভাঙ্গড়ের বামনঘাটায় এক চা চক্রে যোগ দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততো বেশি হিংস্র হয়ে উঠছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ তারা জানে নির্বাচনে তারা কিছুতেই জিততে পারবে না, সেই কারণে হিংসা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে দিলীপের অভিযোগ, রাজ্যের পুলিশকে নপুংসকের মত বানিয়ে রাখা হয়েছে যাতে সবকিছুর ক্ষমতা রাজ্যের শাসক দল একা ভোগ করতে পারে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে, তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তারা যদি মারতে শুরু করবেন সেদিন সত্যিই ব্যান্ডেজ বাঁধার সময় বা জায়গা পাওয়া যাবে না! এর পাশাপাশি কাটমানি ইস্যু এবং দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

বিগত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস দলবদলের নিরিখে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেছে। তৃণমূলের একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এখন গেরুয়া শিবিরে। তিনি ছাড়াও একাধিক নেতা এবং বিধায়ক একে একে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে। অসুস্তি এখনো পুরোপুরি কাটেনি তার কারণ ছিল মূল কংগ্রেস শিবিরের আরো বেশকিছু বিধায়ক বেসুরো হচ্ছেন দিন দিন। এরমধ্যে বারংবার বিজেপির তরফ থেকে ছোট বোনকে যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তা অবশ্যই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটা বড় ফ্যাক্টর হবে তা বলাই বাহুল্য। যদিও পাল্টা আক্রমণের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেসও। সম্প্রতি দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, তারা যে সমস্ত কথাবার্তা বলছেন তা বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবেন না, প্যান্ট খুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে! অতএব বাংলার রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *