বস্টন: আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা ‘টাইটানিক’ দেখতে গিয়েছিল এই সাবমেরিন। ডুবোজাহাজের ৫ জন যাত্রীর ইচ্ছা ছিল ইতিহাসকে চাক্ষুষ করার। কিন্তু তাঁদের পরিণতি যে এমন হবে তা কেউই হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করেননি। ৯৬ ঘণ্টার মতো অক্সিজেনের ভাণ্ডার নিয়ে জলের তলায় ডুব দেওয়া সাবমেরিনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই তার খোঁজ চলছে। কিন্তু সময়ের হিসেব বলছে, সাবমেরিনের অক্সিজেন শেষ! তাহলে কি যাত্রীদের বাঁচার আশাও শেষ হয়ে গেল? প্রশ্নের উত্তর হয়তো একটাই হবে।
একাধিক দেশের নৌসেনা, যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি এই সাবমেরিনের খোঁজ পেতে নামানো হয়েছে রোবটও। কিন্তু এতক্ষণেও কেউ কোনও হদিশ দিতে পারেনি এই সাবমেরিনের। উদ্ধারকারীরা বুঝতেই পারেননি, জলের তলায় ঠিক কোন জায়গায় সাবমেরিন আটকে রয়েছে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর আটলান্টিকের গভীর থেকে কিছুতে ধাক্কা মারার শব্দ আসছিল। সকলেই নিশ্চিত ছিলেন যে সেই আওয়াজ সাবমেরিন থেকেই আসছে। তারপর কেটে গিয়েছে আরও কিছু ঘণ্টা। কিন্তু এখনও তার খোঁজ মেলেনি। আর এখন হিসেব তো এটাই বলে দিচ্ছে যে, ওই সাবমেরিনের অক্সিজেনও শেষ। তাও মহাসাগরের গভীর থেকে এখনও শব্দ আসার আশা করছেন অনেকে। যদিও তার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”Drinking cold water? | অতিরিক্ত গরমে ঠান্ডাজল খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?” width=”789″>
নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস থেকে যাত্রা শুরু করেছিল সাবমেরিনটি। সাবমেরিনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে পর্যটন সংস্থা ‘ওয়ানগেট’-এর তরফে। তারাই সাবমেরিনে টাইটানিক দর্শনের আয়োজন করেছিল। এই সাবমেরিনে প্রতি টিকিটের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ২ কোটিরও বেশি। যানটির ভিতরে পাঁচ জন যাত্রীর চার দিন চলার মতো অক্সিজেন মজুত ছিল।