দিতেই হবে কাস্ট সার্টিফিকেট, প্রশাসনিক বৈঠকের ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রশাসনিক বৈঠক করে ডিএমদের তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

বোলপুর: প্রশাসনিক বৈঠক করে ডিএমদের তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাস্ট সার্টিফিকেট ইস্যুতে ভালো কাজ না হওয়ায় এদিন নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে ডিএমদের আরও দায়িত্ব সহকারে কাজ করার কথা মনে করালেন তিনি। পাশাপাশি কিভাবে গঠনমূলক পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে তাও বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বারবার নির্দেশ দেওয়া হলেও সবাই নিজেদের মতো নতুন নির্দেশ তৈরি করে নিচ্ছে। এদিনের নতুন কর্মসূচি ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এইভাবে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় ক্যাম্প করে যত দ্রুত সম্ভব এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, পরিবারের যে কোনো একজনের শংসাপত্র থাকলেই তাকে নতি হিসেবে ধরে নিয়ে অন্য সদস্যদের কাস্ট সার্টিফিকেট দিতে হবে। বংশপরম্পরায় জাতিগত শংসাপত্র এর প্রয়োজন নেই। কিন্তু অবাক করার বিষয়, বীরভূম জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকরা এই পদ্ধতি সম্পর্কে অবগতই নয়। সেই কারণেই এদিন প্রশাসনিক বৈঠকের তাদের তীব্র ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

এদিন বৈঠকে জানা যায়, এই সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রায় ২৮ হাজার আবেদন জমা পড়লেও সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার জন। এই কারণে অবাক হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সরকারি আধিকারিকদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারেন তারা এই পদ্ধতির সরলীকরণ সম্পর্কে জানেন না। সেই কথা জানতে পেরে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি বারবার নির্দেশ দেওয়ার পরেও সেই মত কাজ হচ্ছে না। কেউ কেউ নিজেদের মতো নতুন নির্দেশ তৈরি করে নিচ্ছে। এই ভাবে কাজ করলে হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে এদিন বীরভূমের তপশিলি জাতি-উপজাতি অধ্যুষিত জেলায় জাতিগত শংসাপত্র প্রদানের বিষয়কে কেন্দ্র করে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তা শুনে প্রচন্ড রেগে যান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − fifteen =