কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে জলঘোলা পরিস্থিতি। এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে রেট বাড়ানোর জন্য সরকারকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। সোমবার স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বৈঠক ছিল স্বাস্থ্যভবনে। সেখানে বেসরকারি হাসপাতালগুলির তরফে সরকারকে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়।
এদিনের বৈঠকে তিনটি বিষয় নিয়ে মূলত আলোচনা করা হয়। স্বাস্থ্যসাথীর যে রেট সরকার বেঁধে দিয়েছে সেই রেটে এত সংখ্যক মানুষকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভবপর নয় বলে জানিয়েছে হাসপাতালগুলির তরফে। রেট বাড়নোর বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করা হোক। তাদের মতে মূলত জটিল রোগের চিকিৎসা স্বাস্থ্যসাথীর আওয়ায় আসুক। সাধারণ রোগের চিকিৎসা এর আওতায় বাইরে রাখার কথা বলা হয় যাতে হাসপাতালগুলিতে ভিড় না বাড়ে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার পর রোগী যখন বাড়িতে চলে যায় তারপর টাকা মেটাতে অনেক দিন কাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে যাতে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা মেটানো হয় সেই বিষয়ে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার কথা বলে হাসপাতালগুলি।
বেসরকারি হাসপাতালগুলির এই দাবি সরকার লিখিতভাবে চেয়েছে। সেটি জমা পড়লে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করে দেখা হবে বলে সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত কোনও বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কোনও ব্যক্তি গেলে তাদের কোনওভাবেই ফেরানো যাবে না। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এই ব্যাপারে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সরকার। ফলে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল। সরকারের লক্ষ্য ছিল জানুয়ারির মধ্যে ৯ কোটি মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পৌঁছে দেওয়া। তা এখন কতটা কার্যকর হবে তা বলা মুশকিল। -ফাইল ছবি৷