মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আদিবাসী গ্রামে ‘উন্নয়ন’ খোঁজে প্রশাসন! এতদিন কি ‘শীতঘুমে’?

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আদিবাসী গ্রামে ‘উন্নয়ন’ খোঁজে প্রশাসন! এতদিন কি ‘শীতঘুমে’?

 

নিজস্ব সংবাদদাতা, বোলপুর: বুধবার বীরভূম থেকে ফেরার পথে বোলপুর সংলগ্ন বল্লভপুর আদিবাসী গ্রামে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁকে কাছে পেয়ে নিজেদের নানান সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা৷ উঠে এসেছিল পানীয় জলের সমস্যা, শৌচালয়ের সমস্যার কথা৷ কেউ পাননি প্রতিবন্ধী ভাতাও৷ এসব সমস্যা যাতে দ্রুত নিবারণ করা হয় সেজন্য সরকারি আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা৷ মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার বল্লভপুরের আদিবাসী পাড়ায় উপস্থিত হলেন সরকারি আধিকারিকেরা৷  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার রুপপুর পঞ্চায়েতের বল্লভপুর ডাঙ্গা গ্রাম খতিয়ে দেখেন রুপপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ও বোলপুরের বিডিও শেখর সাঁই ও অন্যান্য আধিকারিকরা। গ্রামে কী কী পরিষেবা মেলেনি? কে কী পেয়েছে, তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখেন তাঁরা৷

প্রশ্ন উঠছে, এতদিন সরকারি আধিকারিকেরা কোথায় ছিলেন? এখন কী ভোটের মুখে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও প্রশাসনের ঘুম ভাঙল? গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এর আগে তো এরকম খোঁজ নিয়ে কেউ আসেনি? গ্রামে নেই শৌচালয়৷ যার জেরে চরম সমস্যায় পড়েন গ্রামের মহিলারা৷ গ্রামবাসীদের আরও দাবি, একশো দিনের কাজ করে সেই টাকাও সময়ে পাননা তারা৷ এমনকী লকডাউনের সময় ঠিক করে রেশনের চালও পাননি তারা৷ প্রশাসনিক কর্তাদের প্রতিশ্রুতির পরেও তারা সত্যিই সুযোগ সুবিধা পাবেন কি না তা নিয়ে নিশ্চিত নন তারা৷ অনেকের মতে আবার সামনে ভোট বলেই এখন গ্রামে গ্রামে মানুষের খোঁজ নিচ্ছেন আধিকারিকেরা৷ ভোট মিটতেই আর দেখা মিলবে না এদের৷

ভোটের মুখে রাজ্যজুড়ে চলছে দুয়ারে দুয়ারে সরকার৷ সেখানেও কেন মেটেনি গ্রামবাসীদের সমস্যা৷ তাহলে কি ‘ব্যর্থ’ দুয়ারে সরকারের উদ্দেশ্য? পরিষেবা পেতে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে কেন অভিযোগ জানাতে হল স্থানীয়দের? তাহলে কী করছিল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত? কোনও খোঁজ রাখেনি প্রশাসন? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =