মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ড: ৮৭ দিনের মাথায় চার্জশিট দিল সিআইডি, সন্দেহভাজন ২ তৃণমূল নেতা

গত বছর অক্টোবর মাসে টিটাগরে বি টি রোডে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন বিজেপি নেতা তথা টিটাগর পুরসভার কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা।

2c3046617c0d2fd0b8940502fa7e0a26

কলকাতা: গত বছর অক্টোবর মাসে টিটাগরে বি টি রোডে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন বিজেপি নেতা তথা টিটাগর পুরসভার কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা। সেই ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় আজ চার্জশিট জমা দিল সিআইডি। মোট ১০ জনকে অভিযুক্ত করে ব্যারাকপুর আদালতে জমা পড়েছে চার্জশিট। তবে সন্দেহভাজন হিসেবে ১২ জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে, জানা গিয়েছে এমনটাই। এদের সকলের বিরুদ্ধেই এখনো পর্যন্ত তদন্ত চলছে। 

বিজেপি নেতা মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যার রেশ রয়েছে এখনো। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, পরিকল্পনামাফিক এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যদিও অনেকের বক্তব্য ছিল ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে বিতর্ক বেশিবার আগেই এই ঘটনার তদন্ত ভার সিআইডির হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। পরবর্তী ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হচ্ছিল, তদন্তে ধীরতা আছে। তবে এখন অবশেষে চার্জশিট জমা পড়ায় কিছুটা হলেও অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের বিষয়টি কিছুটা হলেও কমেছে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে, মহম্মদ খুররাম, গুলাব শেখ, সুবোধ রায়, নাসির আলি, সুজিত রায়, সোনু রায়, রাজা রায়, অমর যাদব, রোশন কুমারদের। এদের মধ্যে প্রথম ২ জন ঘটনার পরদিনই সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। আর ১২ জন সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছেন বারাকপুর পুরসভার প্রশাসক উত্তম দাস ও টিটাগড়ের পুরপ্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরী। 

সিআইডি সূত্রে দাবি করা হয়, মণীশ হত্যাকাণ্ডে অন্যতম ষড়যন্ত্রী নাসির আলি মণ্ডলকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য হাতে এসেছে। খুনের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল নাসির। পরে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মণীশ খুনের তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে গোটা ঘটনায় বিহারের গ্যাংস্টার সুবোধ সিংয়ের হাত রয়েছে। যে কারণে আদালতের অনুমতি নিয়ে সুবোধকে জেরা করতে সিআইডির একটি টিম বিহারেও গিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *