গড়বেতা: সোমবার গড়বেতায় ছোট আঙারিয়া দিবস উপলক্ষে সভা করলেন৷ সেখান থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ এদিন দুয়ারে সরকারকে ‘ঢপের চপ’ ও ‘যমের দুয়ারে; সরকার বলে তোপ দাগেন তিনি৷ শুভেন্দুর কথায়, সবুজ সাথীর সাইকেলেও কাটমানি নেয় সরকার, তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে বাংলাকে না তুলে দিলে রাজ্যের উন্নতি হবে না৷ এদিন জে পি নাড্ডাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে কড়া সমালোচনা করেন শুভেন্দু৷ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলছেন তিনি কে? বাংলার এই সংস্কৃতিকে বদলাতে হবে, বাংলার এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে৷
এদিন বিজেপির নব্য নেতা শুভেন্দু বাংলার শাসকদলকে ‘ছিন্নমূল’ বলেও কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি আমফানের টাকা ঝাড়া, বালি খাদানের টাকা ঝাড়া দল বলেও তোপ দাগেন। মমতার উদ্দেশে বার্তা, ‘অটলবিহারী বাজপেয়ী না দেখলে মাননীয়া আপনার দল উঠে চলে যেত।’ এদিন ভাষণ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০১১ সাল পর্যন্ত শহীদ বেদীতে মালা দেওয়ার সময় হয়নি কারোর। মালা তো দূর, গাঁদা ফুলের পাপড়ি পর্যন্ত পড়তো না বেদীতে। তখন সবাই ঘরে ঢুকে গিয়েছিল, তাদের তিনি অক্সিজেন দিয়েছিলেন।
এদিন শুভেন্দু বলেন, উনিশে আপনারা হাফ করে দিয়েছেন, একুশে আমরা সবাই মিলে সাফ করে দেব৷ তিনি আরও বলেন, ওরা বলছে, মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতক আমি গডসের দলে গেছি। আমি বলছে চাই সেইসময় ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ি যদি সেইদিন দরজা না খুলে দিতেন, তাহলে আপনার দলে ঘাসটাই উড়ে চলে যেত। বিজেপি গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। ২০০৬ সালে ওনার অনশন ভাঙার জন্য কেউই আসেনি, এসেছিলেন রাজনাথ সিং। তার শরবৎ খেয়ে অনশন ভেঙেছিলেন তিনি।”